নিজস্ব প্রতিনিধি: আজকালকার যুগে নারী-পুরুষের কোনও বিভেদ নেই। একজন পুরুষের থেকেও নারীরা এখন উপার্জনে সমান সমান। তবে অর্থের দিক দিয়ে নারী-পুরুষের কোনও বিভেদ নাহলেও শারীরিক গঠনের দিক দিয়ে উভয়েই আলাদা। নারীদের বিশেষত্ব ‘ঋতুস্রাব’ বা পিরিয়ডস্। প্রতিমাসেই এই মাসিক প্রক্রিয়া এক পাঁচ দিনের জন্যে এঁটে বসে সকল নারীদের শরীরে। যার জন্যে অনেক সময়ে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় নারীদের। কর্মস্থলে যাওয়ার জন্যে বিভিন্ন ট্রাম-বাসে যাতায়াত, নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রভৃতি। একটা বয়সে ঋতুস্রাব বা ‘পিরিয়ডস্’ সব মেয়েদেরই হয়। যেটির মধ্যে খোদাই করা রয়েছে মাতৃত্ব।
তবে সকল মেয়েদের কাছে ঋতুস্রাবের প্রাথমিক পর্যায়ে মায়েদের ভূমিকাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে বাবাদের কোনও ভূমিকা থাকেনা বললেই চলে। কিন্তু অভিনেত্রী সুম্বুল তৌকির খানের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু অন্যরকম হয়েছিল। বিগ বস ১৬-এর থেকে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন সুম্বুল। সম্প্রতি নিজের বাবার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কতটা গভীর সেই বিষয়ে মুখ খুলেছে অভিনেত্রী।
এক আলাপচারিতায় বাবার সম্পর্কে সুম্বুল জানালেন, “আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাবা খুব বোধগম্য একজন মানুষ, আমার ৬ বছর বয়স থেকে, তিনি আমাকে স্বাধীনভাবে দেখাশোনা করছেন। তিনি আমাদের সবাইকে একা হাতে বড় করেছেন। ঘুম থেকে উঠিয়ে স্কুলের জন্য প্রস্তুত করা, রান্না করা। আমাদের প্রাতঃরাশ, বাড়ির দেখাশোনা, বা নিজের নাচের স্কুল চালানো, সবকিছু একাই করেছেন।” তবে মেয়ে সন্তান বড় করার পেছনে একজন বাবা হিসাবে, অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়ে ছিলেন তিনি।
এরপরই সুম্বুল তাঁর প্রথম পিরিয়ডের কথা মনে করে বলেন, “আমি জীবনে এখনও পর্যন্ত, অন্য কারুর সমর্থন বা নির্দেশনা অনুভব করিনি। প্রথমবার যখন আমার পিরিয়ড হয়েছিল, তখন আমার বাবা ছিলেনআমাকে গাইড করার জন্য আমার আশেপাশে ছিলেন।” সুম্বুলের বাবা-মা খুব অল্প বয়সে আলাদা হয়ে যান, তাঁদের সিদ্ধান্তকে অভিনেত্রী অত্যন্ত সম্মান করেন, তাই এই বিষয়ে বাবাকে কখনও প্রশ্ন করেননি। সুম্বুল বর্তমানে বিখ্যাত মুম্বই টিভি অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন।