নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বেসুরো গান এবং অদ্ভুত আচরণের জন্যে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের বুকেও সমান জনপ্রিয় আশরাফুল আলম থুড়ি হিরো আলম। সোশ্যাল মিডিয়ার কাছে তিনি একজন আস্ত কমেডিয়ান। মাঝে মধ্যেই ভুলভাল গেয়ে কটাক্ষের সম্মুখীন হতেও তাঁর বেশি দেরি লাগেনা। বেশ কয়েকবার মিউজিক ভিডিওর বেলাল্লাপানার খাতিরে পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে হয়েছে তাঁকে। তবুও তাঁর প্রতিভার অন্ত নেই। একের পর এক কারণে প্রতিনিয়ত সংবাদের শিরোনাম হচ্ছেন বাংলাদেশের স্ব-ঘোষিত গায়ক-নায়ক হিরো আলম। কিছুদিন আগেই সংসদ পদে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করতে গিয়ে গলা ধাক্কা খান তিনি। বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর বগুড়ায় শূন্য চার আসনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে কিছুদিন আগেই বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
প্রার্থী হওয়ার ফরম কিনতে চেয়ে সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের মুখ ঝামটা খান তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁর কাছে কোনো প্রার্থী ফরম বিক্রি করা হবেনা। এহেন গলা ধাক্কা একেবারেই হজম হয়নি তাঁর। সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছিলেন, নির্দল প্রার্থী হিসেবে সংসদের উপনির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন। শেষমেশ ঘোষিত জাতীয় সংসদের দুটি আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কথা জানালেন হিরো আলম। শুক্রবার এফডিসিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন চলছিল। এই নির্বাচনে এসে সর্ব সমক্ষে দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কথা জানান আলম। তাঁর কথায়, আগে শুধু বগুড়ার একটি আসনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর। এখন তাঁর ইচ্ছে বড় হয়েছে।
তাই এবার তিনি বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ (সদর)—এই দুই আসনের উপনির্বাচনে সামিল হচ্ছেন, তাঁর বিশ্বাস এমপি তিনি হবেনই। আলমের কথায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে অনেক কর্মী-সমর্থক তাঁর জন্য কাজ করেছেন। সেখানে তাঁর বিজয় সুনিশ্চিত ছিল। বগুড়া-৬ আসনেও তরুণ ভোটারদের মধ্যে তাঁর অনেক ভক্ত রয়েছেন, তাঁদের অনুরোধেই আসন্ন নির্বাচনে তিনি বগুড়া-৬ থেকে মনোনয়ন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে পরিস্থিতি বুঝে একটি আসন মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন।