নিজস্ব প্রতিনিধি: তারকাদের বিনোদন মহল থেকে রাজনীতির প্রাঙ্গণে আসার ঘটনা নতুন নয়। বাংলার শাসকদল সিংহাসনে বসার পর থেকেই একের পর এক চমক দেখিয়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলে সংযুক্ত হয়েছেন টলিউডের একাধিক তারকা। গতমাসে সেই তালিকায় যোগ দিয়েছেন বাংলার দিদি নং ১-রচনা বন্দোপাধ্যায়। ১০ মার্চ ব্রিগেডে ‘জনগর্জন’ সভায় জনগণকে সাক্ষী রেখে ৪২ জন তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ হওয়ার লড়াইয়ে, তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক কী হতে চলেছে, সেটাই দেখার বাকি ছিল! সেদিন ৪২ জন তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে সবার সঙ্গে র্যাম্পে হেঁটে চমকে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান থেকে রচনা তৃণমূলের একাধিক নয়া মুখ। মাস কয়েক আগে বাংলার টপ রিয়েলিটি শো ‘দিদি নং ১’-এ মুখ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণের সময় থেকেই রচনার রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে কানাঘুষো চলছিল। অভিনেত্রী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন রচনা বন্দোপাধ্যায়। হিন্দি, ওড়িষা, বাংলা সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন রচনা বন্দোপাধ্যায়। ২০১০ সালে অভিনয়কে বিদায় জানান রচনা। এরপর দিদি নং ১-এর সঞ্চালনা, শাড়ি এবং বুটিকের ব্যবসা, ছেলেকে একা হাতে মানুষ করা, কেরিয়ারের দীর্ঘ জার্নির পর এবার রাজনীতিতে ডেবিউ করলেন তিনি। তৃণমূলের হুগলির কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে ছেন রচনা বন্দোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি সংঘর্ষে নেমেছেন। লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
এতদিন ক্যামেরার সামনে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন লকেট এবং রচনা বন্দোপাধ্যায়। এবার দুজনেই একেবারে বিপরীত মেরুদণ্ডের প্রার্থী। রাজনীতিতে নবাগতা হলেও হাবে-ভাবে তিনি দাপুটে নেত্রীর থেকে কম নয়। প্রতিদিন আগে পুজো সেরে তারপর প্রচারে নামছেন রচনা বন্দোপাধ্যায়। হুটখোলা জিপে ঘুরছেন। কখনও স্থানীয়দের থেকে দই খাচ্ছেন, ঘুগনি খাচ্ছেন, আবার খাওয়াচ্ছেন। সঙ্গে নারীশক্তির জয়ধ্বনি তুলছেন। আর তারকা তকমা ছেঁটে ফেলে প্রচার সারছেন রচনা। আর রচনাকে দেখতে স্থানীয় বাসিন্দারাও জমাচ্ছেন লাগামছাড়া ভিড়।
শুক্রবার রচনা বন্দোপাধ্যায় গিয়েছিলেন বাঁশবেরিয়া অঞ্চলে। সেখানেই জনসংযোগ করলেন হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের তৃনমূল প্রাথী রচনা বন্দোপাধ্যায়। হুটখোলা জিপে উঠে প্রথমে হংসেশ্বরী মন্দিরে পূজো দিয়ে জনসংযোগ যাএা শুরু করেছেন তিনি। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন মজুমদার ছিলেন শিল্পী চট্টোপাধ্যায়, বাঁশবেরিয়া পৌরসভার পৌরপ্রধান আদিত্য নিয়োগী।উপস্থিত ছিলেন ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রও।