নিজস্ব প্রতিনিধি: অভিনয়ের গণ্ডি পেরিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চে তারকাদের প্রবেশ, এখন বিষয়টা নর্ম্যাল। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন, তাই এখন সবার পাখির চোখ এর উপরেই। ইতিমধ্যেই গোটা দেশের রাজনৈতিক দলগুলি প্রার্থী বাছাইয়ে এক্কেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বাংলায় তৃণমূলে প্রার্থী বাছাই নিয়ে কয়েকদিন রীতিমতো ধুন্ধুমার চলল। তবে এখনও বিজেপি মহল তাঁদের প্রার্থী বাছাই শেষ করেনি। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চমকের বন্যা বয়ে গিয়েছে। বহু তারকা এবার রাজনৈতিক মহলে ডেবিউ করেছেন। এবার সেই তালিকায় যোগ হলেন, বলিউডের স্বনামধন্য পরিচালক রাম গোপাল ভার্মা। বৃহস্পতিবার এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ গিয়ে ‘হঠাৎ’-ই রাজনীতি মহলে যোগদানের ঘোষণা করলেন রামগোপাল ভার্মা।
তিনি আসন্ন লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে অন্ধ্রপ্রদেশের পিঠাপুরম কেন্দ্র থেকে দাঁড়াচ্ছেন। অভিনেতা তথা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পবন কল্যাণের বিরুদ্ধে লড়বেন রাম গোপাল ভার্মা। যিনি একই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন। এদিন রাম গোপাল ভার্মা আচমকাই টুইটে বলেন, “হঠাৎ সিদ্ধান্ত। জানাতে পেরে খুশি যে আমি পিঠাপুরম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।” তবে আরও বিস্তারিত তিনি শেয়ার করেননি। পবনের জনসেনা পার্টি রাজ্য ও লোকসভা নির্বাচনে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি এবং বিজেপির সঙ্গে জোট গঠন করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের আসন্ন লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের জন্য অভিনেতার দল বিজেপি এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন তেলেগু দেশম পার্টির (TDP) সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চুক্তি চূড়ান্ত করার কয়েকদিন পর রামগোপাল ভার্মা ঘোষণা করলেন যে, তিনি ভোটযুদ্ধে লড়াই করবেন টলিউড অভিনেতা এবং জেএসপি প্রধান পবন কল্যাণের বিরুদ্ধে। পবণ কল্যাণের জনসেনা পার্টি বিধানসভা নির্বাচনে মোট ১৭৫ টির মধ্যে ২১ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
বিজেপি ১০ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, আর টিডিপি ১৪৪ টি আসনে লড়বে। গত বছর, অন্ধ্রপ্রদেশের রাজনীতির উপর ভিত্তি করে রাম গোপাল ভার্মার চলচ্চিত্র ব্যোহম নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরে, বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা চলচ্চিত্র নির্মাতাকে রাজ্য থেকে বহিষ্কারের দাবি করেছিলেন। ছবিটি অন্ধ্র প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডির মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল। এতে অভিনয় করেছেন মনসা রাধাকৃষ্ণন, আজমল আমীর এবং সুরভী প্রভাবতী। এবার সেখান থেকেই লড়বেন রামগোপাল ভার্মা। রাম গোপাল ভার্মার শুধু হিন্দি নয়, তেলেগু সিনেমা পরিচালনার জন্যেও বিখ্যাত। তিনি মুলত রাজনৈতিক এবং গ্যাংস্টার প্রেক্ষাপটে ছবি নির্মাণ করেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সত্য’ (১৯৯৮), ‘কোম্পানি’ (২০০২), ‘সরকার’ (২০০৫), ‘রঙ্গীলা’ (১৯৯৫), এবং ‘ভূত’ (২০০৩)।