নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার অভিনেত্রী হলেও মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতেও তাঁর দারুণ যোগাযোগ। শুধু তাই নয়, দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও তাঁর পরিচিতি। তাঁকে টলিউডের মহানায়িকা বললেও ক্ষতি নেই। নব্বই দশক থেকেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে রাজ করে চলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তবে তাঁর খ্যাতি শুধু বাংলাতেই আটকে নেই, পৌঁছেছে সুদূর বিদেশেও। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে একাধিক ব্লকবাস্টার উপহার দিয়েছেন অভিনেত্রী, বলা চলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার হাত ধরেই।
একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারেও সম্মানিত হয়েছেন ঋতুপর্ণা। তবে বর্তমানে কলকাতায় বেশি দেখা যায় না তাঁকে, বছরের বেশিরভাগ সময়েই তিনি স্বামীর কাছে সিঙ্গাপুর নয়তো দেশে-বিদেশে নানা কাজে ঘুরে বেড়ান। সম্প্রতি তিনি পৌঁছলেন বিশ্ব তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার শ্বশুরবাড়ি।
কি, অবাক হচ্ছেন তাই তো! ঋতুপর্ণার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে গেলেই দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কার স্বামী পপ তারকা নীক জোনাস এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঋতুপর্ণার ঝলমলে একাধিক ছবিগুলি। হ্যাঁ, সম্প্রতি ঋতুপর্ণা পৌঁছেছিলেন প্রিয়াঙ্কার লস অ্যাঞ্জেলস-এর বাড়িতে। অভিনেত্রী যাওয়া মাত্রই তাঁকে নিকের পরিবার উষ্ণ অভ্যর্থনা করেছেন। ঋতুপর্ণাকে এদিন প্রিয়াঙ্কার মা মধু চোপড়া এবং নিকের সঙ্গে একটি গ্রুপ ছবি তুলতে দেখা যায়।
এমনকী ছবিগুলি শেয়ার করে ঋতুপর্ণা, প্রিয়াঙ্কার মায়ের উদ্দেশ্যে একটি দীর্ঘ নোট লিখে জানান, “মোমবাতির মতো এই সুন্দর ছবি, আমার কাছে একটি ছোট্ট উপহার পাওয়ার মতো এবং একটি সুন্দর নোট পাঠানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আন্টি, খুব আনন্দের ছিল। কয়েকদিন আগে আপনাকে দেখতে গিয়েছিলাম। আপনার সমস্ত আদর-যত্ন আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনার এবং জোনাস পরিবারের সঙ্গে দেখা করে খুব ভালো লাগলো। প্রিয়াঙ্কাকে খুব মিস করছিলাম। নিকেরবাড়িটি স্বপ্নের থেকে কোনও অংশে কম নয়।’ ছবিতে ঋতুকে একটি সাদা বর্ণের অভিনব স্টাইলের একটি পোশাকে দেখা গিয়েছিল এবং নিক এবং মধু চোপড়াকে ক্যাসুয়াল পোশাকেই দেখা গিয়েছে। নিকের বাবাকেও দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীর সঙ্গে। তবে কোনো ছবিতেই প্রিয়াঙ্কা দেখা যায়নি, হয়তো প্রিয়াঙ্কা ভারতে থাকাকালীন ঋতুপর্ণা তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন।