নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্ধ্যে হলেই বাঙালির ড্রয়িং রুম একেবারে জমে যায় বাংলা সিরিয়ালে। মনোরঞ্জন করতে চলে আসেন একঝাঁক কলাকুশলীরা। তাঁরাই এখন বাঙালিদের ঘরের সদস্য। কখনও মিঠাই আবার কখনও বেল্ট কাকি, কখনও মৌ-এর রাজত্ব আবার কখনও কমলা পৃথ্বীরাজের জারিঝুড়ি। একটা এপিসোডও মিস করেন না মা কাকিমারা। এখন আবার বাবা-কাকারাও সিরিয়ালের পারমানেন্ট দর্শক। কিন্তু চারিদিকে উন্মত্ত গরমে কলাকুশলীরা সিরিয়াল করছেন কী করে! এদিকে দুদিন হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগামী ১ সপ্তাহের জন্যে স্কুল কলেজগুলি বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছেন। আবারও শুরু হয়েছে ‘অনলাইন ক্লাস’।
এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই সিরিয়াল বা সিনেমার কলাকুশলীর কথাও ভাবা উচিত, কারণ সিরিয়ালের শুটিং সবসময়ই একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং। তাই তাঁদের জন্যই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ফেডারেশন। ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, শুটিংয়ের ক্ষেত্রে বেশকিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে। মাসের দ্বিতীয় রবিবার ছাড়া প্রায়শই সিরিয়ালের শুটিং চলে প্রতিদিন। প্রায় ১৪ ঘণ্টা শুটিং হয়। আসলে সিরিয়ালের ব্যাঙ্কিংয়ের জন্যই এত ঝক্কি অনেক সময় এসি ফ্লোরের বাইরেও শুটিং হয়। তাই এই গরমে কিছুতেই আউটডোর শুটিং করা যাবেনা। তাই বেশ কিছু বদল করতে হবে। শুটিংয়ের সময়েরও বদল আনা প্রয়োজন। তাই দুপুরের সময়টুকু যাতে শুটিং বন্ধ থাকে, সেই নিয়েই আলোচনায় বসবে ফেডারেশন। ইতিমধ্যেই ইম্পাকে মেইল করা হয়েছে।
৪১ ডিগ্রি গরমে ১৪ ঘণ্টা ধরে শুটিং করা সত্যিই যথাসাধ্য নয়। এই চাপে সত্যিই কঠিন অবস্থা তাঁদের। অভিনেতা হানি বাফনা বলেন, “আমি তো প্রতিদিন বেলের শরবত খেয়ে বাড়ি থেকে বার হই। তা ছাড়া প্রচুর পরিমাণে ডিটক্স ওয়াটার খাচ্ছি।” অন্য দিকে, ‘পঞ্চমী’ সিরিয়ালের নায়িকা সুস্মিতা দে বলেন, “গরমে পিচের রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটা খুব কঠিন। তবে এখন আউটডোর শুটিং একটু কম রাখা হচ্ছে। আমি তো ওআরএস আর তরমুজের উপরেই বেঁচে আছি।”