নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের বক্সঅফিসে এখন শাহরুখময়। পাঠান উৎসবে এখন সবাই মাতোয়ারা। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে ‘পাঠান’। পাঠান প্রায় চারবছর পর শাহরুখ খানের প্রত্যাবর্তনকে চিহ্নিত করেছে। মুক্তির আগে থেকেই শাহরুখের ছবি ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছিল। মাত্র চার দিনেই বক্সঅফিসে দারুণ সাফল্য লাভ করেছে পাঠান। যাকে বলে একেবারে বিশ্বরেকর্ড। শাহরুখ তাঁর সর্বশেষ ছবি পাঠান দিয়ে বক্স অফিসে নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। এমনকী পাঁচবছর পরে অভিনেতার প্রত্যাবর্তন সবচেয়ে বড় সমালোচকদেরও আকর্ষণীয় করেছে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য সবচেয়ে বড় রবিবার ছিল ২৯ জানুয়ারি। পাঠান প্রথম (বর্ধিত) সপ্তাহান্তে প্রায় ২৮২-২৮৫ কোটি অর্থ উপার্জন করেছে। শুধু দেশেই ৩০০ কোটি ছুঁই ছুঁই পাঠানের বক্সঅফিস কালেকশন। প্রথম রবিবার প্রায় ৬২-৬৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে পাঠান। এদিকে বিশ্বব্যাপী ৫০০ কোটি ছড়িয়েছে পাঠান। যা কিনা হিন্দি ছবির এ যাবৎ কালের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
৫ দিন পর পাঠানের বক্সঅফিস কালেকশন
বুধবার: ৫৭ কোটি টাকা
বৃহস্পতিবার: ৭০. ৫০ কোটি টাকা
শুক্রবার: ৩৯.৫২ কোটি টাকা
শনিবার: ৫৩.৫২ কোটি টাকা
রবিবার: ৬২-৬৫ কোটি টাকা
মোট: ২৮২-২৮৫ কোটি টাকা।
পাঠান আমির খানের দঙ্গলকে হারিয়ে সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী হিন্দি চলচ্চিত্রে পরিণত হবে কী?
প্রায় ৩৯০ কোটি টাকা আয় করা দঙ্গল-এর আজীবন সংগ্রহকে পরাজিত করেছে পাঠান। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হিন্দি চলচ্চিত্রে পৌঁছনোর পথে পাঠান। সিদ্ধার্থ আনন্দের পরিচালনায় দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে এই সংখ্যাটি অতিক্রম করতে পারে। তবে মজার বিষয় হল, পাঠান ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে ৫৪২ কোটি আয় করে ফেলেছে। বাহুবলী 2-এর ব্যবসাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।