নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বস্তি নেই শাহরুখ খানের। আরিয়ানের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল না মুম্বই আদালত। গত বৃহস্পতিবার এনসিবি হেফাজতের হাত থেকে সরিয়ে জেল হেফাজতে পাঠানো হয় আরিয়ানকে। মাদক মামলায় জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় মুম্বই আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট। ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার কথাই ছিল আরিয়ানের। কিন্তু গতকালই শাহরুখ পুত্রকে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। সেই আর্জির শুনানিতেই শুক্রবার মুম্বই আদালতের তরফে জানানো হয় আরিয়ানকে কোনওভাবেই ছাড়া হবে না। অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন সম্পূর্ণ রুপেই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এনসিবি হেফাজত থেকে সরিয়ে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয় আরিয়ানকে। আর তখনই আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে শাহরুখ পুত্রের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানান। যার আজ শুনানিতে ব্যাপক অশান্তি হয় আদালত চত্বর। কার্যত দুই আইনজীবীর তীব্র বাদানুবাদ হয় জামিনের বিষয়ে। এনসিবি তথা সরকারি আইনজীবী অনিল সিং-এর সঙ্গে বচসায় জড়ান আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে। হোয়াটসঅ্যাপে যে কথোপকথনের জেরে আরিয়ানকে মাদকাসক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তা নেহাতই ‘নির্দোষ’ ফুটবল ম্যাচ নিয়ে ছিল বলে দাবি করেন আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে। কিন্তু সরকারী আইনজীবী অনিল সিংহ মনে করছেন, ফুটবল নয়, সাংকেতিক ভাষায় কোনও মাদক চক্রের সঙ্গে কথোপকথন চালাতেন আরিয়ান।
শুধু আরিয়ান নয়, জেলে থাকতে হবে মুনমুন ধামেচা, আরবাজ মার্চেন্ট সহ বাকি ড্রাগ মামলায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের একইসঙ্গে থাকতে হবে জেলে। প্রত্যেকেরই করোনা টেস্ট করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত ব্যারাকে রয়েছেন আরিয়ান খান। আর্থার রোডের জেলেই কাটবে ১৪ দিন।