নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে আফগানিস্তানে তালিবান শাসন ঘুম কেড়ে নেয় গোটা বিশ্বের। তালিবান অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যে লাখ লাখ মানুষ পালাতে শুরু করে। এমনকী বিমানের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় মানুষ বিমানের চাকা, পালক এইসব জায়গায় আশ্রয় নিয়ে ভিন দেশে পালিয়ে যান। যার ফলে মৃত্যু ঘটেছে বহু আফগানিস্তানীদের। এহেন ভয়াবহ দৃশ্য এখনও গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়। তালিবানরা এখনও বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছে আফগানিস্তানে। এমনকী তালিবান শাসকরা আফগানিস্তানে মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। যা রীতিমতো বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও ভারতের একাধিক প্রভাবশালী মানুষ এই বিষয়ে তীব্র নিন্দা করেছেন। সম্প্রতি তালিবান শাসকদের এহেন রোমহর্ষক কাণ্ডে তীব্র প্রতিবাদ করে একটি নোট লিখেছেন প্রবীণ গীতিকার-কবি জাভেদ আখতার।
আফগানিস্তানের তালিবান শাসকরা দেশের মহিলাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার উপর অনির্দিষ্টকালের জন্য একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরপরেই জাভেদ আখতার ভারতের মুসলিম আইন বোর্ড এবং ইসলামিক পণ্ডিতদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে টুইটে লিখেছেন, “তালিবানরা ইসলামের নামে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব ধরনের চাকরিতে মেয়েদের ও মহিলাদের নিষিদ্ধ করেছে। কেন মুসলিম পার্সোনাল বোর্ড এবং ভারতের অন্যান্য ইসলামিক পন্ডিতরা এখন পর্যন্ত এর নিন্দা করেননি? শুধু তাই নয়, তালিবানরা ইসলাম ধর্মের নামে মেয়েদের সব ধরনের চাকরি থেকেও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। কেন মুসলিম পার্সোনাল বোর্ড এবং ভারতের অন্যান্য ইসলামিক পন্ডিতরা কোনো প্রতিবাদ করেন নি। তাতে অবাক সবাই। তাঁদের চুপ থাকা এটাই প্রমাণ করছে যে,তাঁরা এই বিষয়টিকে সমর্থন করছেন।”
আফগানিস্তানে তালিবান নেতৃত্বকে একটি অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছি। যা সমস্ত আফগানদের অধিকারকে সম্মান করে এবং নারীদের সমান অধিকারকে নিশ্চিত করে। আমি জাতিসংঘের 2593 রেজোলিউশনের কথা স্মরণ করতে চাই যা নারীসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখার গুরুত্বকে পুনর্ব্যক্ত করে।”