নিজস্ব প্রতিনিধি: শাড়ি নারির অলংকার। কিন্তু বর্তমানে সেই শাড়ি পরতেই কিনা অসভ্যতার বাঁধ ভাঙছে আধুনিক মহিলারা। কারণ বর্তমানে শাড়ি পরতে একাধিক স্টাইল ব্যবহার করছেন আধুনিকারা। কেউ সঠিক জায়গায় আঁচল না দিয়ে বুকের মধ্য দিয়ে শাড়ির আঁচল গলাচ্ছেন। আবার ওপরে ব্লাউজ পরে নিচে শাড়ি লুঙ্গির স্টাইলে পরছেন। অথচ একসময় বলা হত, নারীর লজ্জা নিবারণের প্রধান পোশাক শাড়িই। কিন্তু এখন কারও কারও কাছে শাড়িই হয়ে গিয়েছে চরম অসভ্য পোশাক। সম্প্রতি মেয়েদের শাড়ি পরার ধরণ নিয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা নৃত্যশিল্পী মমতা শংকরের একটি মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নতুন প্রজন্মের নারীদের সাজ নিয়ে অভিনেত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, আজকাল অনেকেই শাড়ি পরে, কিন্তু আঁচল ঠিক থাকে না! আগে যাঁদের রাস্তার মেয়ে বলা হত, যাঁরা ল্যাম্পপোস্টের নীচে দাঁড়িয়ে থাকত। তাঁরা এমন করে শাড়ি পরত। গ্রামে মহিলাদের কাজ করতে গিয়ে আঁচল সরে যেত, তাতে কোনও দোষ ছিল না। যৌনকর্মীরা পেশার তাগিদে পুরুষদের আকর্ষণ করতে ওই ভাবে শাড়ি পরত, সেটা মানা যায়। কিন্তু আজকাল বিনা কারণেই যারা আঁচল নামিয়ে পরেন, তাতে তাঁর আপত্তি। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর এই বক্তব্য নিয়েই সোশাল মিডিয়ার একাংশের রোষানলে পড়েছেন মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar)। কটাক্ষ, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ কিছুই বাদ যায়নি। মমতা শঙ্করের মতো মানুষের এমন কথা বলা উচিত নয় বলেই জানিয়েছেন অনেকে।
এবার নেটিজেনদের সেই সমালোচনারই উত্তর দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে ‘প্রধান’ সিনেমার একশো দিনের সেলিব্রেশনে দেব, সৌমিতৃষাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন মমতা শঙ্কর। সেখানেই একটি সংবাদমাধ্যমকে ভাইরাল মন্তব্যের স্পষ্ঠীকরণ দিলেন মমতা শংকর। তিনি বলেন, “শাড়ি পরার নানা ধরন নিয়ে আমি কিছু বলিনি। আমি শুধুমাত্র আঁচল নিয়ে কথা বলেছি। আমি সেটা এখনও বলছি, বলে যাব। যাঁরা এটা নিয়ে আমাকে ভুল বুঝছেন তাঁরা প্লিজ আমার মন্তব্যটা মন দিয়ে শুনুন। আমার প্রত্যেকটা কথা শুনুন। আমার মনে হয় না যাঁদের একটু বিবেচনা বোধ রয়েছে, তাঁরা আমাকে ভুল বুঝবেন। আমি কাউকে ছোট করিনি। ল্যাম্পপোস্ট, যাঁরা দাঁড়ান তাঁদেরকে আমি সম্মান করি। কারণ তাঁরা জীবিকার জন্য এটা করছেন। কিন্তু যাঁরা নিজেকে এরকমভাবে দেখান তাঁদের আমি খারাপ বিরোধিতা করি। আর সম্পূর্ণটা আমার নিজস্ব মতামত।”