আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মেসি মানেই আর্জেন্তিনা অপ্রতিরোধ্য নয়, সেটা বুঝিয়ে দিল সৌদির আরব। প্রথমে তারা এক গোলে এগিয়ে ছিল। আর্জেন্তিনা সেই গোল পরিশোধ করলেও সৌদি আরবকে তারা রুখতে পারেনি। প্রথম গোল হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে তারা আরও একটি গোল করে। মেসিকে তো বটেই, শিবিরিরে বাকি খেলোয়াড়েরাও মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। দুই গোলে সৌদি এগিয়ে থাকায় আর্জেন্তিনা রীতিমতো চাপে পড়ে যায়।
এদিনের ম্যাচে সবার নজর যে মেসির দিকে থাকবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল ক্রীড়ামহল। আর মেসি মাঠে নামতেই গ্যালারি থেকে সমবেতভাবে চিৎকার ওঠে মেসি মেসি। তবে প্রথমার্ধে সৌদি আরব গোল পরিশোধ করায় আর্জেন্তিনা চাপে পড়ে যায়।
মেসি এদিন আশ্চর্য্যরকম ধীরস্থির। সেটা পায়ের চোটের কারণে না কি এটাই জীবনের শেষ বিশ্বকাপ হওয়ায় ম্যাচের শুরু থেকে মেসি নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন, তা নিয়ে রীতিমতো কৌতুহল তৈরি হয়েছে। তবে প্রথম গোলটা মেসিই করেছিলেন। পেনাল্টি থেকে তিনি গোল করেন। দ্বিতীয় গোলটি করেন মার্তিনেজ। প্রথমে গোল দিয়ে দেন রেফারি। কিন্তু পরে ভার প্রযুক্তির সাহায্যে দেখা যায় অফসাইডে ছিলেন মার্তিনেজ। তাই গোল বাতিল হয়। তবে সৌদি আরব দুই গোলে এগিয়ে থাকা যে মেসিদের কাছে সংকেত বার্তা, তা নিয়ে কোনও মহলেই সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে এভাবে গোল খেতে হবে সেটা কেউ অনুমান করতে পারেনি।
আরও পড়ুন সাংবাদিককে গ্রেফতার করে ফ্যাসাদে কাতার