আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সময়ের হাত ধরে বদলে গিয়েছে খেলার ধরণ। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব ধরনের খেলায় নেওয়া হয় আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য। আসন্ন বিশ্বকাপে অফসাইডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে প্রযুক্তির সাহায্যে। এতোদিন পর্যন্ত বিশ্বকাপ ফুটবলে দুটি প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হত। ২০১৪ সালে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল গোল লাইন টেকনোলজি। পরের বছর বিশ্বকাপ ফুটবলে শুরু হয় ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি। আসন্ন বিশ্বকাপে অফসাইডের সিদ্ধান্ত নেবে প্রযুক্তি।নতুন এই প্রযুক্তির নাম সেমি অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি বা SAOT।
বল অফসাইড হয়েছে কি না, তা কীভাবে জানাবে সেমি অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি? স্টেডিয়ামের মাথা বসানো রয়েছে ১২টি ক্যামেরা। বলা গড়াতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে চালু হয়ে যাবে ক্যামেরা। অফসাইডে থাকা কোনও খেলোয়াড়ের পায়ে বল গেলেই মুহূর্তের মধ্যে ক্যামেরা রেফারিকে সংকেত পাঠাবে। রেফারি বাঁশি বাজিয়ে জানিয়ে দেবে অফসাইড।
ফিফা সভাপতি গিয়ান্নি ইনফ্যানিতো জানিয়েছেন, গত বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর থেকেই প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে ফিফা কথা শুরু করে। জানিয়ে দেওয়া হয় ফিফা কী চাইছে। প্রযুক্তিবিদেরা তিন বছর কাজ চালিয়ে গিয়েছে। তাদের সেই কাজের ফলশ্রুতিতেই এই সেমি অফসাইড টেকনোলজি। আসন্ন বিশ্বকাপের প্রতিটি খেলাতেই এই প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে। এই প্রযুক্তি সব থেকে উল্লেখযোগ্য দিক হল অফসাইড হলে প্রতিপক্ষ শিবিরের প্রতিবাদ জানায়। এবার তাদের সেই প্রতিবাদের সুযোগও থাকছে না।
আরও পডু়ন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ফিফার, বিশ্বকাপে এই প্রথম ম্যাচরেফারি মহিলা