নিজস্ব প্রতিনিধি: কুকুরকে (Dog) দেখভাল করার জন্য টাকা নিতেন, অথচ এক হাজার কুকুরকে না খেতে দিয়ে অনাহারে রেখে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea)। সম্প্রতি সেদেশের একটি সংবাদ মাধ্যম এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি সামনে এনেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, পশু নির্যাতনের মামলার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেছেন নিজের অপরাধের কথা। সেদেশের পশুপ্রেমী সংগঠনের কর্মীদের অভিযোগ, প্রজননের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে এমন কুকুর বা বাণিজ্যিকভাবে আর আকর্ষণীয় নয় এমন কুকুরদেরকে এই ব্যক্তিটির হাতে তুলে দেওয়া হত। একইসঙ্গে প্রাণীগুলির যত্ন নেওয়ার জন্য প্রতি কুকুর পিছু ১০ হাজার ওন করে দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্তকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কুকুরগুলিকে তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন অভিযুক্ত। না খেতে দেওয়ায় অনাহারে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে প্রাণীগুলি।
রিপোর্ট অনুসারে, নির্যাতিত কুকুরগুলির পচা মৃতদেহগুলি জমিয়ে রাখা হত। জীবিত অবস্থায় ক্ষুধার্ত কুকুরগুলিকে খাঁচায়, বস্তায় ও রাবারের বাক্সে রাখা হতো। ইয়াংপিয়ংয়ের (Yangpyeong ) স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই সপ্তাহে মৃত কুকুরগুলো সরিয়ে ফেলা হবে। প্রসঙ্গত পশুদের উপর অত্যাচার বা নৃশংসতার ঘটনা রুখতে কঠোর আইন চালু রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি প্রাণীকে খেতে দিতে বা জল না দিয়ে হত্যা করলে তিন বছরের জেল বা ৩০ মিলিয়ন ওন পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তার পরেও সেদেশে পশু নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।