নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: শাসকদল আওয়ামী লীগের লেজুড়বৃত্তি না করার অপরাধে গত কয়েক বছর ধরেই শেখ হাসিনা সরকারের রাজরোষে পড়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস। গোটা বিশ্বজুড়ে সমীহ আদায় করা মানুষটি লাগাতার সরকারি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে হয়রানি করা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন ১২ মার্কিন সিনেটর।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মার্কিন সংসদের উচ্চ কক্ষের ১২ সদস্য লিখেছেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে ইউনূসের ভূমিকা বিশ্বের লক্ষ-লক্ষ গরিব মানুষকে নয়া দিশা দেখিয়েছে। তাঁদের সাবলম্বী হতে সাহায্য করেছে। আর্থিক দৈন্যতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করেছে। অথচ সেই গরিব মানুষের ভাগ্য বদলের পুরোধা আপনার ক্ষমতায় থাকাকালীন গত এক দশকের বেশি সময় ধরে দেড় শতাধিক ভিত্তিহীন মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভোলকার টুর্ক এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলিও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার বিচার প্রক্রিয়ার অনিয়ম নিয়ে বাংলাদেশের অনেক বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবিও মুখ খুলেছেন। আপনার কাছে অনুরোধ ইউনূসের মতো একজন গুণী মানুষের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার পথ ত্যাগ করুন। ’
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ডিক ডারবিন, টড ইয়ং, টিম কাইন, ড্যান সুলিভান, জেফরে এ মার্কলে, জিন শাহিন, এডওয়ার্ড মার্কি, শেরোড ব্রাউন, পিটার ওয়েলশ, শেলডন হোয়াইটহাউস, রন ওয়াইডেন ও কোরি এ বুকার। উল্লেখ্য, সম্প্রতি শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় আইন না মেনেই গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ইউনূসকে ৬ মাসের জেলের সাজা শুনিয়েছিল শ্রম আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নোবেলজয়ী থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনেরা।