আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মায়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনের ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমের এক সমুদ্র সৈকত থেকে একইসঙ্গে ১৪ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর নৃশংস হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে মালয়েশিয়া পালানোর সময়েই নৌকাডুবিতে ওই ১৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। মৃতদের মধ্যে ১২ জন মহিলা ও দুই শিশুও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ‘এএফপি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘সোমবার মায়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত প্যাথেইন জেলার এক সমুদ্র সৈকতে রোহিঙ্গাদের সারিবদ্ধ মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশে খবর দেওয়া হলে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জেলা পুলিশের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুন শোয়ে জানিয়েছেন, চৌদ্দটি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। তাছাড়া একটি নৌকা থেকে মালিকসহ আরও ৩৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।’
স্থানীয় এক মানবাধিকার কর্মী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে রাখাইনের বুথিডাং, মংডু এবং সিত্তওয়ে শহর প্রায় পঞ্চাশজনের মতো রোহিঙ্গা নৌকায় চেপে মালয়েশিয়ার পথে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু নৌকায় থাকা যাত্রীরা মাঝপথে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েন সবাই। অনেকে সাঁতরে জীবন বাঁচাতে পারলেও বাকিরা মৃত্যুকে এড়াতে পারেননি।’ ২০১৭ সাল থেকেই সেনাবাহিনীর নৃশংস অত্যাচারে মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা।