আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ টানা চার মাস ধরে চলছে গাজার ওপর ইজরায়েলি হামলা । আর এই হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা। শুধু তাই নয় বর্তমানে গাজায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সঙ্কট। খাবার না পেয়ে প্রাণ হারিয়েছে বেশ কয়েকজন শিশু। এই আবহেই গাজায় খাবার পাঠানোর জন্য আকাশ পথকেই বেছে নিয়েছে প্রতিবেশী দেশরা। আর এই খাবার পৌছাতে গিয়ে ঘটল বিপত্তি। মাঝ আকাশে খুলল না প্যারাসুট। এরফলে সেই ত্রাণ মাথায় পড়ে প্রাণ হারালেন ৫ জন এবং আহত হয়েছেন ১০জন ।
জরুরি বিভাগের প্রধান নার্স মোহাম্মদ আল-শেখ জানিয়েছেন , ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে আল শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে একটি কার্গো থেকে প্যারাসুটের সাহায্যে শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ নামানোর সময় আচমকাই খুলল না প্যারাসুট। এরফলে ত্রাণগুলি নিচে পড়তে শুরু করে। আর তাতেই প্রাণ হারান ৫ জন। আহতদের গাজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কারা এই ত্রাণ পাঠিয়েছিল তা এখন জানা যায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, মিশর, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং বেলজিয়াম সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিমানের মাধ্যমে ত্রাণ পাঠানো পরিকল্পনা করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ই অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের মতো নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩২০ জনের মতো সেনা রয়েছেন। এই হামলার পরেই গাজার ওপর হামলা শুরু করে ইজরায়েল বাহিনী। ইজরায়েল এবং হামাস সংঘর্ষের জেরে গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩১ হাজার। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইজরায়েল -হামাস যুদ্ধের প্রধান শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। গত তিন মাসে ইজরায়েলি হামলায় প্রাণ গাজায় প্রাণ হারিয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি শিশু। শুধু প্রাণ হারান নয় ইয়রায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন শতাধিক শিশু। একথায় ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা।