আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক ভয়াবহ প্রতারণার শিকার জাতিসঙ্ঘ।
গোয়ায় বাড়ি তৈরির জন্য জাতিসঙ্ঘের থেকে মোটা টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ব্রিটেনের এক শিল্পপতি। আশ্বাস দিয়েছিলেন, গোয়ায় তিনি ৫০ হাজার বাড়ি তৈরি করে দিতে চান। এই ব্যাপারে জাতিসঙ্ঘের থেকে তিনি ঋণ নিতে চাইছেন। ঋণের পরিমাণ ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ধার নিয়েছিলেন তিন বছর আগে। একটিও বাড়ি সেখানে তৈরি হয়নি। ভয়াবহ প্রতারণার বিষয়টি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। আর তা দেখে জাতিসঙ্ঘের কর্তাদের চক্ষু চড়কগাছে।
আরও ভয়ঙ্কর তথ্য হল, সংস্থার তরফ থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি গোয়া গিয়েছিলেন। সেখানকার সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা তাদের প্রস্তাব পেশ করেন। কিন্তু এই ধরনের প্রকল্পের জন্য যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন, সেই ধরনের পরিকাঠামো গোয়ায় নেই বলে সরকার প্রস্তাবে সম্মতি দিতে অস্বীকার করে। প্রশ্ন এখানেই, জাতিসঙ্ঘের যে কর্তা এই বিশাল টাকা মঞ্জুর করেছেন, তিনি কেন এই ব্যাপারে খোঁজ নেননি।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, জাতিসঙ্ঘের থেকে এই বিশাল টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ব্রিটেনের বিশিষ্ট শিল্পপতি ডেভিড কেন্ড্রিক। তার সিঙ্গাপুরে তাঁর ‘সাস্টেনেবল হাউজিং সলিউশন’ নামে একটি সংস্থা রয়েছে।এই সংস্থার নাম করে তিনি জাতিসঙ্ঘের প্রজেক্ট সার্ভিসেস থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। বিষয়টি সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘের বেশ কয়েকজন শীর্ষকর্তার নজরে আসে। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ায় প্রজেক্ট সার্ভিসেস-য়ের প্রধান পদ থেকে চলতি মাসে ইস্তফা দেন গ্রেটে ফারেমো।টাকা কীভাবে উদ্ধার হবে, তার রাস্তা খুঁজছে জাতিসঙ্ঘ।
আরও পডু়ন ‘জঙ্গি’ সন্দেহে বিনা বিচারে পাঁচ বছর তিহারে ব্রিটিশ নাগরিক, চটেছে জাতিসঙ্ঘ