এই মুহূর্তে




ইজরায়েলি হামলার এক বছর পূর্তি, কোটি কোটি টন ধ্বংসস্তুপ নিয়ে বিপাকে গাজাবাসী




আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ‘মৃত্যুপুরী’ শব্দটি বললে সবার আগে উঠে আসবে গাজার নাম। প্রায় ১ বছর ধরে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইজরায়েল। ইজরায়লের আক্রমণ থেকে রেহাই পায় নি ছোট্ট ছোট্ট শিশু ও নারীরা। বাদ যায় নি স্কুল,মসজিদ,গির্জা। হামাস-ইজরায়েল দ্বন্দ্ব আগামী সোমবার (৭ অক্টোবর) এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। টানা এক বছর ধরে গাজায় ইজরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে গাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছিল।বন্দি করে নিয়েছিল বহু জনকে। এর মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছিল। সেই থেকে টানা এক বছর ধরে একটার পর একটা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে গাজায়। গাজা এখন আবর্জনার ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই না। এই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে কত স্বপ্ন, কত মানুষের আতর্নাদ, হাহাকার।

ইজরায়েলের অবিরাম হামলায় গাজায় ৪১ হাজারেরও বাসিন্দা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৯৫ হাজারের কাছাকাছি। এক পা, দু পা হারিয়ে পঙ্গু হয়েছে বহু নিরীহ শিশু। ভূখণ্ডটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, সেখানে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অট্টালিকা ও এখনও দাড়িয়ে আছে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত এমন ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ চার কোটি ২০ লক্ষ টনেরও বেশি হবে। জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে, এসব ধ্বংসস্তূপ ২০০৮ সাল থেকে গত বছর যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত গাজার মাটিতে সঞ্চিত আবর্জনার পরিমাণ ১৪ গুণ।

শুধু তাই নয়, জাতিসংঘের অনুমান,ধ্বংসস্তূপ একসঙ্গে জড়ো করে স্তূপীকৃত করা হলে তা দিয়ে মিশরের বৃহত্তম পিরামিডটিকে (গিজার মহা পিরামিড) ১১ বার ভরে দেওয়া যাবে। আর এই ধ্বংস্তূপ কমছে না। বরং প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে। এই আবর্জনা ধ্বংস্তূপে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে গাজার আকাশ-বাতাস।

জাতিসংঘের তিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব ধ্বংসস্তূপ নিয়ে কী করা যায় তা নিয়ে জাতিসংঘ গাজার কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করার চেষ্টা করছে। জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন একটি ধ্বংসাবশেষ ব্যবস্থাপনা ওয়ার্কিং গ্রুপ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষগুলোকে সঙ্গে নিয়ে চলতি মাসেই খান ইউনিস ও গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দিয়ের এল-বালাহয় রাস্তার পাশের আবর্জনা পরিষ্কার করার একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করছে। তবে কতটুকু এতে নিষ্পত্তি হবে তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে তাঁরা।

টানা এক বছর হতে চলল। এখনও গাজায় হামলা বন্ধ করে নি ইজরায়েল। ইজরায়েলি হামলায় শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পঙ্গুত্বের সংখ্যা বেড়েছে ব্যাপকভাবে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিদিন গড়ে ১০টি শিশু একটা অথবা দুটো পা হারিয়ে পঙ্গু হচ্ছে। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৪০ হাজার জন নিহত এবং ৯০ হাজার জন আহত হয়েছে যাঁদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গাজা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ আগ্রাসনে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাকও সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না। ট্রাকে করে খাবার এবং বিশুদ্ধ জল নিয়ে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে গাজায় শিশুরা অপুষ্টি এবং জলশূন্যতায় মারা যাচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য শেষ সম্বল জলটুকুও পাচ্ছে না তাঁরা। তীব্র খিদের জ্বালায় ছটফট করছে গাজার নিরীহ শিশুরা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুই শাবককে বাঁচাতে সিংহীর সঙ্গে লড়ে গেলেন মা চিতা, কুর্নিশ জানাচ্ছে নেট জনতা

পেন্টাগনের কাদের চাকরি খাবেন, সেই তালিকা তৈরি করছেন ট্রাম্প

গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, বিশ্বে ৮০ কোটির বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

শিশু দিবসেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, চলন্ত স্কুল বাসে দাউ-দাউ করে জ্বলছে আগুন, আর্ত চি‍ৎকার পড়ুয়াদের

অবাক কান্ড, রাস্তায় হাঁটার পরও ময়লা হয়নি ধবধবে সাদা মোজা

ফের তেল আবিবে ইজরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হিজবুল্লাহর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর