আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে জারি হল গ্রেফতারি পরোয়ানা। পরোয়ানা জারি করেছে ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাস। এক মহিলা আইনজীবীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে। এই গ্রেফতারি পরোয়ানা সেই সূত্রেই। যে ঘটনার সূত্রে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাস পরোয়না জারি করেছে সেই ঘটনায় ইমরান ব্যক্তিগতভাবে দায়রা আদালতে হাজিরা দিয়ে লিখিতভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ইমরান খান ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে হাজিরা এড়ালে তাকে গ্রেফতার করা হবে। পাকিস্তানের প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী তথা ইমরান ঘনিষ্ট নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী জানিয়েছে, তারা এই গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
ইমরানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার পিছনে রয়েছে গত ২০ অগাস্ট ইসলামাবাদে তাঁর দেওয়া ভাষণ, যে ভাষণে তাঁকে বলতে শোনা যায় পুলিশের শীর্ষকর্তা, নির্বাচন কমিশন এবং তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, জেলে আটক তাঁর দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা শাহবাজ গিলের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি, শাহবাজ গিলকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক জেবা চৌধুরী। বিচারকের এই সিদ্ধান্তে সমালোচনায় সরব হতে দেখা গিয়েছিল ইমরানকে।
অন্যদিকে দায়রা আদালতে ইমরান হাজিরা দিয়ে ওই মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করেছেন। আগামীদিনে তিনি সংযত আচরণ করবেন। বিচারক বা বিচারপতিদের প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তারপরেও কেন ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।