আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকদিনের অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন কৃষক জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতের শিকার হন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এই আকস্মিক বন্যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং পরিবহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে বৃষ্টির জলে একাধিক কৃষিজমি ডুবে গেছে।এছাড়া প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ায় মুষলধারে বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যার কারণে ভূমিধস হয়েছে। এতে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছ উপড়ে গেছে। আগামী কয়েকদিনে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। ফলে আরও ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার বিষয়ে সতর্ক করেছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
এবার প্রথম নয়,এর আগেও, ২০২২ সালে বন্যায় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ সম্পূর্ণভাবে বন্যায় নিমজ্জিত হয়েছিল। সেই বন্যায় এক হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছিলেন।এছাড়াও আহত হয়েছিল আরও কয়েক হাজার মানুষ। এতে কয়েক লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিল।খাবার জল ও খাবারের অভাব ছিল দীর্ঘদিন ধরে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাকিস্তানে চরম আবহাওয়া বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগও বাড়ছে। শুধু পাকিস্তান নয়, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিচ্ছে প্রাকৃতিক দূর্যোগ। সম্প্রতি বালুচ উপকূলীয় শহর পাসনির বিস্তীর্ণ এলাকা বৃষ্টির জলে তলিয়ে গেছে। সেখানকার মিউনিসিপ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান নুর আহমেদ কলমতি পাকিস্তানি দৈনিক দ্য ডনকে বলেন, ‘পাসনিকে এই মুহূর্তে একটি বড় হ্রদের মতো দেখাচ্ছে’। এএফপির প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। সেখানে কর্তৃপক্ষও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।