নিজস্ব প্রতিনিধি: মায়ানমারের (Myanmar) ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী আং সান সু চিকে (Aung San Suu Kyi) পাঁচটি দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগে আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড দিল দেশটির জান্তা সরকারের আদালত (Court)। এ নিয়ে তাঁকে মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল। নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া সু চি-র বিরুদ্ধে সরকারি গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ করা, করোনার বিধিভঙ্গ করা-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে।
২০২১ সালে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। মায়ানমারের সেনাবাহিনী বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে সে দেশের ক্ষমতা দখল করে। সেই অভ্যুত্থানের সময় সু চি-সহ বেসামরিক সরকারের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর থেকে তিনি ১৯টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৮ মাস ধরে বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন। শুক্রবার পাঁচটি অভিযোগে তাঁকে সাজা শোনায় আদালত। সরকারি মন্ত্রীর জন্য একটি হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়ার সময় সু চি সরকারি নিয়ম মানেননি বলে অভিযোগ আনা হয়। ইতিমধ্যে মায়ানমারের নেত্রী কোভিড জননিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন, ওয়াকি-টকি আমদানি ও সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ ১৪ টি বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে শুক্রবার মায়ানমারে জান্তা সরকারের আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। রুদ্ধদ্বার কক্ষে হয় বিচার। আদালতে শুনানির সময় সাংবাদিক বা অন্যান্য কাউকে আদালত কক্ষে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি। গোপনে বিচারপ্রক্রিয়া চালানোর জন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলি ইতিমধ্যে সরব হয়েছে। মায়ানমারের জান্তা সরকারের আদালতের কাছেই একটি জেলে রাখা হয়েছে সু চি-কে। অভ্যুত্থানের পরে ২০২১ সালের জুলাইয়ে সেদেশের সামরিক সরকার ঘোষণা করে, ২০২০ সালের ভোটের ফল অবৈধ।