নিজস্ব প্রতিনিধি: পার্টিগেট কেলেঙ্কারি তদন্তের জেরে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। করোনা পরিস্থিতির সময় ব্রিটেনে লাগু থাকা লকডাউনের সময় আইন ভেঙে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করেছিলেন বরিস জনসন। আর এই বিষয়ে তিনি পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তদন্ত রিপোর্টে হাউস অব কমন্স থেকে বরিস জনসনকে অপসারণের সুপারিশ করা হয়।
প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন তাঁকে অপসারণ করার উদ্দেশে এই তদন্ত। তিনি আরও বলেন, ‘ব্রেক্সিটের প্রতিশোধ নিতে এবং তলে তলে মূলত ২০১৬ সালের গণভোটের ফল পাল্টে দিতে এসব আয়োজন চলছে।’ এক হাজার শব্দের বিবৃতি জারি করে বরিস জনসন ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের সমালোচনা করেছেন। ঋষি সুনকের সরকারের বিরুদ্ধে ট্যাক্স বৃদ্ধি ও ব্রেক্সিট ঠিকমতো কার্যকর করে তুলতে না পারার অভিযোগ এনেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘অন্তত এই মুহূর্তে পার্লামেন্ট ছাড়তে হচ্ছে, এজন্য আমি অত্যন্ত দু:খিত।’
উল্লেখ্য, করোনা রুখতে দীর্ঘ দু’বছর লকডাউন বিধি জারি ছিল গোটা ব্রিটেনে। কিন্তু সেই লকডাউন চলাকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক পার্টির আয়োজন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সে পার্টির মধ্যে তিনটিতে বরিস জনসন যোগ দেন বলে অভিযোগ ওঠে।