নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদকে নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম নেই। ইতিমধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে মহাকাশযান অবতরণ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে নাসার গবেষণায় নতুন তথ্য উঠে এসেছে। সেই তথ্যে জানা গিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠে আরও বেশি ভাঁজের সৃষ্টি হচ্ছে। এরফলে সেখানে ভূমিকম্প ও ভূমিধস বেড়ে গিয়েছে।
নাসার বিজ্ঞানীরা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, চাঁদের কেন্দ্রভাগ ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। সংকুচিত হয়ে সেটি আঙুরের কিশমিশের মতো পরিণত হচ্ছে। কেন্দ্রভাগ সংকুচিত হওয়ার ফলে চন্দ্রপৃষ্টে বিভিন্ন সময় কম্পন অনুভূত হচ্ছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরু কম্পনপ্রবণ এলাকা। ভবিষ্যতে এই সব জায়গায় জনবসতি ও যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হলে তা আগামীদিনে ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, কয়েক লক্ষ বছর ধরে চাঁদের কেন্দ্রভাগ ১৫০ ফুট সংকুচিত হয়েছে। ভূতাত্বিক দিক থেকে এই ধরনের পরিবর্তন খুবই উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর সফল অভিযানের পর ওই অঞ্চল নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছিল। ইতিমধ্যে ওই অঞ্চলে মহাকাশযান পাঠাতে ব্যর্থ হয় রাশিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ওই অঞ্চলে আর্টেমিস ৩ মিশন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। এই পরিস্থিতিতে নাসার গবেষকদের এই ঘোষণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।