নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার মধ্যরাতের শক্তিশালী ভূমিকম্পে(Nepal Earthquake) রীতিমত বিধ্বস্ত অবস্থা হয়েছে নেপালের রুকুম পশ্চিম ও জাজারকোট জেলা। এই দুই জেলার মধ্যে আবার ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রুকুম পশ্চিমের আথাবিসকোট পুরসভা এলাকা। শনিবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত সরকারি ভাবে নেপালে মৃতের সংখ্যা(Death Toll) ১৫৩। এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছেন বলে জানা গিয়েছে। কাটমান্ডু(Kathmandu) থেকে ক্ষতিগ্রস্থ দুই জেলাই কার্যত সড়কপথে সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। যার জেরে এই দুই জেলার বেশ কিছু দুর্গম এলাকার ছবি এখনও নেপাল সরকারের কাছেই এসে পৌঁছায়নি। এখন চেষ্টা চলছে আকাশপথে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে ওই সব এলাকার সঙ্গে যোগাযোগের স্থাপন করার।
এদিন নেপাল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কৃষ্ণ প্রসাদ ভান্ডারি জানিয়েছেন, ‘যেসব এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছে সেখানে স্থানীয় ভাবে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সুরখেতে আট প্ল্যাটুন সেনা সহ হেলিকপ্টারও নামানো হয়েছে উদ্ধারকাজের(Rescue Operation) জন্য। অন্যান্য এলাকাতেও হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে বলে বাহিনী জানিয়েছে। জাজারকোট ও রুকুম পশ্চিমে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে এবং নিহত ও আহতের সংখ্যাও বেশি। সুরক্ষেতে ব্যাটালিয়ন থেকে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য-কর্মীদের একটি দল দুর্গম এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। রুকুম পশ্চিমের আথাবিসকোট পুরসভা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই শহরেই ৬৭ জন মারা গিয়েছেন। ৩৫,০০০ জনসংখ্যার আথাবিসকোট শহরে শত শত বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা হাজার হাজার।
সূত্রে জানা গিয়েছে, জাজারকোট ও রুকুম পশ্চিমে সেনা নামানো হলেও খারাপ আওহাওয়ার কারণে অনেক জায়গায় সেনাবাহিনী পৌঁছাতেই পারেনি। যেখানে যেখানে পৌঁছাতে পেরেছে সেনাবাহিনী সেখান থেকে আকতদের উদ্ধার করে তাঁদের হেলিকপ্টারে করে নেপাল আর্মি হাসপাতাল, নেপালগঞ্জ পুলিশ হাসপাতাল ও ভেড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় রক্তের ব্যবস্থা করতে রক্তদানের জন্য নিরাপত্তা কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিন সকালেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচন্ড(Pushpa Kumar Dahal) হেলিকপ্টারে করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পৌঁছেছেন আর ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।