আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগাম জামিন মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হবেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইতোমধ্যেই তার বাড়ির সামনে হাজির কয়েক হাজার দলীয় সমর্থক। আদালতে তাঁর হাজিরাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এডা়তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হল। আদালত চত্বর সংলগ্ন এলাকা দিয়ে যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইমরানের খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লোক খেপিয়ে তোলার। সেই সঙ্গে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক জেবা চৌধুরী এবং ইসলামাবাদের বেশ কয়েকজন পুলিশকর্তাকে হুমকি দেওয়ার। সন্ত্রাসদমন আইনে শাহবাজ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং গ্রেফতারের উদ্যোগ নেয়।
সেদিন সকালেই দলের তরফ থেকে আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করলে আদালত আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাকে রক্ষা কবচ দেয়। সেই রক্ষা কবচের মেয়াদ এদিন শেষ হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, আদালত তবে কি ইমরানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেবে? আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে যেমন সরকার, তাকিয়ে ইমরানের দল।
আদালতে হাজিরা প্রসঙ্গে পাকিস্তান-তেহরিক-ইনসাফ নেতা তথা আইনজীবী বাবর আওয়ান জানিয়েছে, ইমরান খান একজন নির্ভিক নেতা। তাছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা পুরোটাই সরকারের সাজানো। সরকার ইমরানের কণ্ঠরোধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। চাইছে, ইমরানকে দমিয়ে রাখতে । এভাবে ইমরানকে দমিয়ে রাখা যাবে না। দমিয়ে রাখা যাবে না দলকে।
দলের তরফ থেকে সরকারকে বলা হয়েছে ইমরানকে গ্রেফতারের মাশুল সরকারকে গুনতে হবে। এখন দেখার আদালত কী রায় দেয়।