নিজস্ব প্রতিনিধি : পাকিস্তানে আসন্ন নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার মূল চক্রী হাফিস সঈদের দল। চেয়ার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তারা। জানা গিয়েছে, নির্বাচনে লড়বেন হাফিস সঈদের ছেলেও। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে পাকিস্তানে বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রার্থী দাঁড় করাবে এই দল।
লস্কর-ই-তৈবা প্রধান হাফিস সঈদ ২০১৯ সাল থেকে জেলবন্দি। তবে তাঁর হাত ধরে একটি সংগঠন তৈরি হয় যার নাম জামাত উদ দাওয়া। পরবর্তীকালে এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। জামাত উদ দাওয়াইয়ের ছত্রছায়ায় জন্ম নেয় পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ। পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগের প্রধান খালিদ মাসুদ সিন্ধু জানান, তাঁর দল জাতীয় ও প্রদেশিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন কেন্দ্রে লড়বে। চেয়ার প্রতীক চিহ্ন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাঁর দল। পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগের প্রধান জানান, তাঁর দল পাকিস্তানকে ইসলামিক ওয়েলফেয়ার স্টেটে পরিণত করতে চায়।
জানা গিয়েছে, খালিদ মাসুদ সিন্ধু ন্যাশনাল এসেম্বি ভোটে লহোরে এনএ ১৩০ কেন্দ্র থেকে লড়বে। সিন্ধুর বিরুদ্ধে লড়বে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। অন্যদিকে নির্বাচনে লড়বে হাফিস সঈদের ছেলে তালহা সঈদও। তিনি লহোরের এনএ ১২৭ কেন্দ্র থেকে লড়বে।
পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগের সঙ্গে যতই হাফিস সঈদের সম্পর্কের কথা জানা যাক না কেন, দলের প্রধান সিন্ধু অবশ্য হাফিস সঈদের সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে। তাঁর মতে, পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগের সঙ্গে হাফিস সঈদের কোনও সম্পর্ক নেই।
২০১৮ সালে জামাদ উদ দাওয়ার রাজনৈতিক সংগঠন মিল্লি মুসলিম লিগ পাঞ্জাব প্রদেশে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। কিন্তু একটি আসনেও জিততে পারেনি। মিল্লি মুসলিম লিগ নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান মারকারি মুসলিম লিগ নামে এবার ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে চলেছে সিন্ধুরা।