নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সাইফার মামলায় বড় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। জনসমাবেশে সাইফার নয়, মন্ত্রীপরিষদের কাগজ ব্যবহার করেছিলেন বলে জানান। শনিবার পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি অ্যাটক কারাগারে ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গিয়েছিলেন। তখন এই কথা জানান তিনি।
ইমরান খান তোশাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডে অ্যাটক কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ২০২২ সালে একটি জনসমাবেশে একটি নথি তুলে বলেছিলেন, তাকে অপসারণের জন্য মার্কিন-সমর্থিত ষড়যন্ত্রের প্রমাণ। গোপন নথি ভুলভাবে প্রকাশের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি গোপনীয়তা আইনে মামলা করা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, তদন্তকারী সদস্যেরা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তিনি সহযোগিতা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি শান্ত ছিলেন। ইমরান খান স্বীকার করেছেন যে, বলেছেন যে তিনি সাইফার কোথায় রেখেছিলেন তা তিনি মনে করতে পারছেননা। কোনো সাইফার (গোপন বার্তার সাংকেতিক রূপ)জনসমক্ষে প্রদর্শন করেননি তিনি। যে গোপন নথি প্রদর্শন করেছেন তা মন্ত্রীপরিষদের কাগজ।
তদন্ত সংস্থাটি তদন্তের পরে সাইফারের অপব্যবহার এবং এর ভুল স্থানান্তরে তাদের ইচ্ছাকৃত জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরপর ইমরান খান , পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ ভাইস চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আজম খান, প্রাক্তন পরিকল্পনামন্ত্রী আসাদ উমর এবং অন্যান্য সহযোগীদের ভূমিকা তদন্তের সময় নির্ধারণ করা হবে জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্ভবত এটা ছিল সাইফার বিষয়ক ইস্যুতে ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের শেষ পর্যায়। এরপরই একটি সিদ্ধান্তে যাবেন।তদন্ত রিপোর্ট আগামী সপ্তাহের মধ্যে আসতে পারে। তা জমা দেওয়া হতে পারে আদালতে।
অন্যদিকে ইমরান খানের জামিনের আবেদন ইসলামাবাদ হাইকোর্টে প্রত্যাখ্যান হওয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছেন শনিবার। ৯ই মে সহিংসতা, জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সে আক্রমণ, ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মতো বিভিন্ন মামলায় তার জামিন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।