আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হামলা হবে, সেটা আগেই অনুমান করেছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুক্রবার হাসপাতালের বিছানা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া বার্তায় তিনি সেই আশঙ্কার কথা জানান। মলার পর আজ শুক্রবার দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।
বার্তা দিয়েছেন সরকারকেও। বলেছেন, সরকার স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালে ভালো। না হলে পাকিস্তান সাক্ষী থাকবে রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের। ইমরান বলেন, সরকারের সামনে দুটি রাস্তা খোলা। একটি রাস্তা হল স্বেচ্ছায় ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানো। তা না হলে রক্তক্ষয়ী অভ্য়ুত্থানের সাক্ষী থাকবে পাকিস্তান।
কেন হামলা, তাঁর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন পাকিস্তানে রাজনৈতিক পালাবদল। ইমরান বলেন, ‘একটি দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের শাসনে পাকিস্তানবাসী জীবনে নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। তারা চেয়েছিল রাজনৈতিক পালাবদলের। ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসীন হওয়া একটি সরকারকে সহ্য করতে পারেনি দুর্নীতিগ্রস্ত শেহবাজ শরিফ এবং তাঁর দলবল। তারা প্রথমে আমায় ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। এবার চিরকালের জন্য সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।
কখন, কীভাবে ইমরান বুঝতে পারলেন যে তাঁর বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে সেটাও এদিন তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রথমে আমার বিরুদ্ধে তোলা হল ইসলামকে অসম্মান করার অভিযোগ। আমাকে ফাঁসাতে সরকার একটা জাল ভিডিয়ো প্রকাশ করল। আর সেটাকে হাতিয়ার করে আসরে নেমে গেল নওয়াজের লোকেরা। এটা যে পরিষ্কার ষড়যন্ত্র তা আর কারও জানতে বাকি নেয়।