আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাদের দায়িত্ব, বিপথগামীদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা। যাদের জীবন অন্ধকারময়, তাদের জীবন আলোকোজ্জ্বল করে তোলা। এককথায় এদের পরিচয় সন্ন্যাসী।
সেই সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে উঠল মাদক সেবনের অবিযোগ। অভিযোগের সত্যতা খতিয় দেখতে তাদের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রত্যেকেই ডাহা ফেল। মঠ থেকে সকলকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত বন্ধ মঠ। এমনই এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগে তুলকালাম তাইল্যান্ড।
ব্যাঙ্কক পোস্ট সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, মাদক নেন মঠাধ্যক্ষ-সহ চারজন। এরা ফেটছাবুন প্রদেশের বুং সাম ফান জেলার এক বৌদ্ধমঠের সন্ন্যাসী। জানা গিয়েছে, এরা মেথামফেটামাইন মাদক নেন। অভিযোগ গেলে এদের প্রত্যেকের শারীরিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিবাচক হওয়ায় মঠাধ্যক্ষ-সহ বাকিদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের মঠ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তাইল্যান্ড সরকার। আপাতত নতুন কাউকে মঠের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। মঠ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ফেটছাবুন প্রদেশের একটি বৌদ্ধমঠের মঠাধ্যক্ষ এবং কয়েকজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে মাদক নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে এদের সকলের শারীরিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রত্যেকের পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিবাচক। মঠাধ্যক্ষ-সহ বাকিদের মঠ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত মঠ বন্ধ থাকবে।
মেথামফেটামাইন নামের এই মাদক থাইল্যান্ড হয়ে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে গোপনে সরবরাহ করা হয়।লাওস থেকে মায়ানমার হয়ে তাইল্যান্ডে প্রবেশ করে। তবে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মাদক নেওয়ার অভিযোগ রীতিমতো বিস্ময়কর।