আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভায় ভারতের ভাষণে কোণঠাসা পাকিস্তান। ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিতো ভিনিতো বলেছেন, যে দেশ মুখে বলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে চায় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সে দেশ কী করে মুম্বই হামলায় ষড়যন্ত্রীদের আশ্রয় দেয়? সে দেশ কী করে জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে? এটা আরও বেশি দুঃখজনক যে জাতিসঙ্ঘের পবিত্র মঞ্চকে ব্যবহার করে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যে অভিযোগ তুলেছে।
জাতিসঙ্ঘের সাধারণ সভার ভাষণে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ধারাবাহিকভাবে অত্যাচার চালিয়ে আসছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সরকার চাইছে হিন্দুগরিষ্ঠ কাশ্মীর। আন্তর্জাতিকমহল নিশ্চিত ছিল, পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে আরও কড়া কথা শুনতে হবে। আন্তর্জাতিকমহলের সেই আশঙ্কা সত্যিই হল।
ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিতো ভিনিতো বলেন, ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিকমহলের নজর ঘোরাতে চাইছে। চাইছে, আন্তর্জাতিকমহলকে কাছে পেতে। তাই, একের পর এক মিথ্যাচার চালিয়ে গিয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, তাঁর দেশ চায় ভারত-সহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সেটাই যদি হবে, তাহলে আমাদের প্রশ্ন, মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রীদের শাস্তি দেওয়ার বদলে তাদের খাতির যত্ন করে। আর যদি মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাই ধরা হয় তাহলে পাকিস্তানের একাধিক প্রান্তে একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। সে দেশে যারা অধিকারের দাবিতে পথে নামে, সরকার তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে দমিয়ে রাখতে চায়। পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে শান্তি চাইলে আগে তাদের মুম্বই হামলায় জড়িত জঙ্গিদের শাস্তি দিতে হবে। সে দেশের মাটি যাতে জঙ্গিদের আঁতুডঘর না হয়ে ওঠে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।