আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলীয় সমর্থকদের ইসালমাবাদের কোনও হোটেল বা গেস্টহাউজে থাকতে দেওয়া যাবে না। তারা হোটেলের ঘর বুক করতে চাইলে পরিষ্কার না বলে দিতে হবে। যদিও প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা কোনও হোটেল কর্তৃপক্ষ মানতে অস্বীকার করলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাক-প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইমরান সরে যাওয়ার পর বেশ কয়েকবার তাঁকে পথে নামতে দেখা গিয়েছে। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তেতে ওঠে পাকিস্তানের মাটি। ইমরান এবং তাঁর সমর্থকে অভিযোগ, সরকারকে ইচ্ছাকৃতভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতায় আসীন হয়েছে এক দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। ক্ষমতা থেকে শাহবাজ অ্যান্ড কোম্পানিকে হঠাতে ইমরান এবং পাকিস্তান-তেহরিক-ইনসাফ লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। হাত গুটিয়ে বসে নেই সরকারও। তারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা ডেফার্ড লাইভ করবে। প্রথমে ওই ভাষণ তারা শুনবে। ভাষণে আপত্তিকর কিছু পাওয়া গেলে তারা সেটা ছাঁটাই করে সেই ভাষণ পরে সম্প্রচারিত করবে।
ইমরানের ভাষণ যাতে সম্প্রসারিত না হয় তার জন্য পাকিস্তান ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ভাষণ কোনওভাবেই সম্প্রচার করা যাবে না। এই ব্য়াপারে তারা নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অতীতে ইমরানের ভাষণে পাওয়া গিয়েছিল রাষ্ট্রবিরোধী সুর। যা আদালত অবমাননার সামিল। পাকিস্তান ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করলে তারাও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। সেই কারণে এই নিষেধ।