আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরানের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে গেল। শনিবার আরব সাগরের উপকূলে ইজরায়েলি সংস্থার মালিকানাধীন একটি পণ্যবাহী জাহাজ বাজেয়াপ্ত করেছে ইরান। আর তেহরানের ওই পদক্ষেপে বেজায় চটেছে ইজরায়েল। তেল আভিভের তরফে পাল্টা হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘মূল্য চোকানোর জন্য প্রস্তুত থাকুক ইরান।’
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কেতে ইরানের দূতাবাসে হামলা চালিয়ে আয়াতুল্লা আলি খামেইনির দেশের এলিট ফোর্স আইআরজিসির এক ডজন শীর্ষ আধিকারিককে খুন করেছিল ইজরায়েলি সেনা। ওই ঘটনার বদলা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেইনি। ফলে দুই দেশের মধ্যে যে কোনও মুহুর্তে যুদ্ধ বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, রবিবারের মধ্যেই ইজরায়েলে হামলা করতে পারে ইরান।
সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ভারত-সহ একাধিক দেশ নিজেদের নাগরিকককে ইরান ও ইজরায়েল ভ্রমণে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে। আমেরিকা-ফ্রান্স ইজরায়েল ও ইরান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতদেরও সরিয়ে নিয়েছে। শনিবার ইরান সরকার নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা ‘ইরনা’ জানিয়েছে, ‘হরমুজ প্রণালীর কাছে ইজরায়েলের পতাকাবাহী পণ্য জাহাজ ‘’এমসিএস এরিয়েজ’ আটক করেছে ইরানের নৌসেনা। আটকের পরে জাহাজটিকে ইরানের জলসীমায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ জাহাজ আটকের খবরে বেজায় চটেছে ইজরায়েলি সেনা। ইরানকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ‘জাহাজ বাজেয়াপ্ত করে নিজেদের সর্বনাশই ডেকে এনেছে ইরান। ওই কাজের জন্য চরম মূল্য চোকাতে হবে তেহরানকে।’ ইতিমধ্যেই ইজরায়েলি জাহাজ আটক করার বিষয়ে বেশ কয়েকটি ফুটেজ মিলেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে একটি হেলিকপ্টার থেকে তিন জন জাহাজটির ডেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তার পর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ইরানি জলসীমার দিকে জাহাজটিকে নিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।