নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: অনাস্থা ভোটে উতরে গেলেও স্বস্তি পাচ্ছেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (British Prime Minister) বরিস জনসন (Boris Johnson)। বরং সময় যত গড়াচ্ছে ততই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি আঁকড়ে থাকা তাঁর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছেন। মঙ্গলবারই বরিসের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক (Rishi Sunak) ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী সাজিদ জাভিদ (Sajid Javid)। আর বুধবার ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী জন গ্লেন (John Glenn), শিশু ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী উইল কুইন্স (Will Quince) এবং জুনিয়র পরিবহন মন্ত্রী লরা ট্রট (Laura Trott)। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পর পর পাঁচ মন্ত্রীর ইস্তফার ফলে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী যে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন, তা থেকে উত্তীর্ণ হওয়া বড় কঠিন।
যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত সাংসদ ক্রিস পিঞ্চারের সদস্যপদ গত সপ্তাহেই বাতিল করেছিল কনজারভেটিভ পার্টি। কিন্তু একজন কলঙ্কিত ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে বসিয়েছেন ‘পাগলাটে’ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত বরিস জনসন। আর তার পরেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিদ্রোহের মুখে পড়েছেন তিনি। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক (Rishi Sunak) ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ (Sajid Javid) তাদের ইস্তফায় সরাসরি সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী জনসনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
অর্থমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে হেঁটেছেন শিশু ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী উইল কুইন্স এবং জুনিয়র পরিবহন মন্ত্রী লরা ট্রট। ইস্তফার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লরা জানিয়েছেন, ‘বর্তমান সরকারের উপরে বিন্দুমাত্র আস্থা নেই’। আর কুইন্স বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা ছাড়া আমার সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই।’ মন্ত্রীদের পর পর ইস্তফার ঘটনায় বরিস জনসনকে বিঁধেছেন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টার্মার। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেছেন, ‘এটা স্পষ্ট, এই সরকার ভেঙে পড়েছে।’