আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকটের মুখে চিন। সংকট এতটাই যে সরকার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সংকট নিরসনে বিদ্যুতের অপচয় রুখতে হবে। বিদ্যুতের এই ভয়াবহ সংকটের কারণ কয়লার সরবরাহে বাধা।
চিনের এই ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকটের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সব খবর অনুসারে, চিনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটা বড়ো অংশ অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। বন্ধ রাস্তার ট্রাফিক লাইট, আবাসনের লিফট। থ্রিজি মোবাইল পরিষেবাও বিঘ্ন ঘটছে। কলকারাখানায় পণ্য উৎপাদন বন্ধ। পরিস্থিতি এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যে পানীয় জল সরবরাহে সংকট তৈরি হতে পারে। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক করতে না পারলে গোটা দেশ অন্ধকারে ডুবে যাবে। জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন সরকার।
বিদ্য়ুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেওয়া সে দেশের বেশ কয়েকটি বহুজাতিক সংস্থার পণ্য উৎপাদন থমকে গিয়েছে। দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে সরকার সে দেশের বিদ্য়ুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে।
সংকট এতটাই ভয়াবহ যে বেশ কয়েকটি সংস্থা তাদের দিন-প্রতি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। বহু সংস্থা সাময়িকভাবে উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিক একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকটের ফলে দেশের অর্ধেকের বেশি সংস্থা রীতিমতো চিন্তায়। দেশের সার্বিক উন্নয়নের যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে, ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না। গোল্ডম্যান স্যাক্সের ধারণা,
পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একদল অসাধু ব্যবসায়ী আবার কালোবাজারি শুরু করেছে।