নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঠমাণ্ডু: দীর্ঘ ১৯ বছর বাদে জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভারাজ। স্বাস্থ্যের কারণে তাকে জেল থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে নেপালের সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই কুখ্যাত খুনিকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি। ১৯৭৫ সালে আমেরিকান পর্যটক কোনি জো বোরনজিক ও কানাডিয়ান পর্যটক লরেন্ট ক্যারিয়ারকে খুনের দায়ে চার্লস শোভারাজকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল নেপালের কাঠমাণ্ডুর ভক্তপুর আদালত। পাশাপাশি ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে প্রবেশের দায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারকে। ২০০৩ সাল থেকেই নেপালের জেলে বন্দি ছিল দুনিয়া কাঁপানো কুখ্যাত খুনি।
ঠাণ্ডা মাথায় একের পর এক বিদেশি পর্যটককে খুন করে সত্তরের দশকে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন ফরাসি নাগরিক চার্লস শোভারাজ। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সালে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ঘাঁটি গেড়ে ইউরোপ, আমেরিকা সহ পশ্চিমী দেশগুলির পর্যটকদেরই নিশানা করেছিলেন। তার হাতে খুন হওয়া দুই মহিলা পর্যটককে বিকিনি পরিহিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। যে কারণে বিকিনি কিলার হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছিলেন শোভরাজ। ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, স্প্যানিশ সহ ১৩ ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারার সুবাদেই একের পর এক পর্যটককে নিজের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।
এক সময়ে ভারতেও ঘাঁটি গেড়েছিল। মাদক পাচার, খুন সহ নানা অভিযোগে ২১ বছরের জেলের সাজা হয়েছিল তার। কুখ্যাত অপরাধীকে বন্দি করা হয়েছিল তিহাড় জেলে। ১৯৮৬ সালে জেলের নিরাপত্তা রক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছিল। ২২ দিন বাদে গোয়া থেকে শোভরাজকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০৩ সালে কাঠমাণ্ডুর এক ক্যাসিনোর সামনে থেকে দুই বিদেশি পর্যটককে খুনের দায়ে তাকে গ্রেফতার করে নেপাল পুলিশ।