নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি ইসলামাবাদে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসে অভিযান চালিয়েছে পাকিস্তানি পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বিদেশ অভিযানে দূতাবাসের অন্দর টেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল। আর তাতেই পাকিস্তানের ওপর ব্যাপক ক্ষেপেছে উত্তর কোরিয়া। এই অভিযানের জেরে দুই দেশের মধ্যেকার সংঘাত এত দূর গড়িয়েছে যে আন্তর্জাতিক স্তরে দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কেও ফাটল ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনীতিবিদরা। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই উত্তর কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে ইসলামাবাদের দূতাবাসে যে সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং আইন বিরুদ্ধ। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদের পুলিশ স্টেশনেও একটি লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের তরফ থেকে।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত সোমবার অর্থাৎ ৭ মার্চ উত্তর কোরিয়ার ওই ইসলামাবাদের দূতাবাসে এই অভিযান চালায় পাক পুলিশের একটি বিশেষ দল। পুলিশের ওই দলে ছিলেন একজন মহিলা পুলিশসহ ৭ পুলিশ। তাঁরা এই অভিযান চালিয়ে দূতাবাসের ভিতর থেকে প্রচুর পরিমাণে মদের বোতলসহ আরও বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করে। তবে পাক পুলিশের এই অভিযানের সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদ জানান দূতাবাসের সদস্যরা। তাঁরা পাক পুলিশদের এটাও মনে করিয়ে দেন যে উত্তর কোরিয়ার ওই দূতাবাস তাঁদের সার্বভৌম জায়গা। সেখানে এইভাবে বিনা অনুমতিতে অভিযান চালাতে পারে না পুলিশ। কিন্তু দূতাবাসের কোনও সদস্যেরই আপত্তি শোনেনই পাক পুলিশের সদস্যরা।
দূতাবাসের সদস্যদের অভিযোগ, ওই অভিযানের নামে দূতাবাসের ভিতরে ঢুকে চাংচুর চালিয়েছেন পাক পুলিশ। তাঁরা সমস্ত জিনিস লণ্ডভণ্ড করেছেন, এমনকি দরজা জানলাও ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে পাক পুলিশের পাল্টা দাবি, ওই দূতাবাসের মধ্যে অনেক দিন ধরেই বেআইনিভাবে মদ্যপান হত বলে খবর। সেই কারণেই অভিযান চালানো হয়েছে এবং প্রত্যাশিতভাবেই প্রচুর মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে দূতাবাস থেকে।