নিজস্ব প্রতিনিধি: জীবনযুদ্ধের অনেক লড়াইয়ে ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানলেন আমেরিকার জাতীয় ফুটবল তারকা তথা অভিনেতা ও জে সিম্পসন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। রেখে গিয়েছেন অগণিত অনুরাগীকে। গতকাল ১০ এপ্রিল প্রয়াত হলেও বৃহস্পতিবার (১১) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত ফুটবল তারকা-অভিনেতার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। সিম্পসনের মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন একাধিক বিশিষ্টজন।
সানফ্রান্সিকোতে জন্ম ও জে সিম্পসন ছোট থেকেই ছিলেন ফুটবলের ভক্ত। আমেরিকার ন্যাশনাল ফুটবল লিগের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। অল্প দিনের মধ্যেই খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে যান। ১৯৭৩ সালে সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের শিরোপাও পান। ন্যাশনাল ফুটবল লিগ থেকে অবসর নেওয়ার পরে অভিনয়ে ঝোঁকেন। অভিনেতা ও সম্প্রচারক হিসাবেই প্রশংসা কুড়োন।
১৯৯৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলসের এক শহরতলীতে প্রাক্তন স্ত্রী নিকোল ব্রাউন সিম্পসন ও তাঁর বন্ধু রন গোল্ডম্যানকে খুনের অভিযোগ ওঠে সিম্পসনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ গ্রেফতার করে ফুটবলার-অভিনেতাকে। টানা ১১ মাস মামলার শুনানি শেষে তথ্য প্রমাণের অভাবে সিম্পসনকে খালাস দেন বিচারক। তার পরে ২০০৭ সালে ফের ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় ২০০৮ সালে সিম্পসনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। তার মধ্যে ৯ বছর প্যারোলে মুক্তি না দেওয়ার কথাও নির্দেশে জানিয়ে দেন বিচারক। দীর্ঘ ৯ বছর জেলের সাজা ভোগ করার পরে ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রথম প্যারোলে মুক্তি পান তিনি।