আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ছয়শোর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেকেই চাপা পড়ে রয়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। কেননা, বহু মানুষের কোনও খোঁজ নেই। মরক্কো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিখোঁজদের সন্ধানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘আল-জাজিরা’ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত এগারোটা তীব্র ভূকম্পে কেঁপে ওঠে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলের মারাকেচ-সহ একাধিক শহর। রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল মারাকেশ থেকে ৭২ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে মাটি থেকে ১৮.৫ কিলোমিটার গভীরে। মায়ের তলার মাটি কেঁপে উঠতেই প্রাণ ভয়ে অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেড়িয়ে আসেন। চোখের সামনেই তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে গুঁড়িয়ে যায় একাধিক ভবন। ঘুমের ঘোরে থাকা অনেকেই ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান। প্রথম ভূকম্পের মিনিট ১৯ বাদে বেশ কয়েকবার আফটার শক অনুভব করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভূমিকম্পের পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্যে নামে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৬১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে দেড় শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পাহাড়ি এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আল-হাউজ, মারাকেচ, কোয়ারজাজাতে, আজিলাল, চিচাওয়া ও টারোডেন্টে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।