নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে ‘হাতের পুতুল’ নওয়াজ শরিফকে বসাতে নখদাঁত বের করে আসরে নামল পাক সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যেই একাধিক ভোটকেন্দ্রের দখল নিয়েছে সাদা পোশাক পরিহিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের কাউন্টিং এজেন্টদের গুলি করে মারার হুমকি দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, নওয়াজ শরিফ ও তার কন্যা মরিয়ম নওয়াজ প্রথমে হেরে গেলেও নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দুজনের নামে জয়ের শংসাপত্র বের করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভোট গণনা নিয়ে শুধু ইমরান খানের দল পিটিআই নয়, বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টিও (পিপিপি) কারচুপির অভিযোগ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবারই পাকিস্তান জাতীয় সংসদের ২৬৫ আসনে ভোট নেওয়া হয়েছিল। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয় গণনার কাজ। প্রাথমিক প্রবণতায় দেখা যায় ২৬৫ আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে এগিয়ে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা। দ্বিতীয়স্থানে ছিল পাকিস্তান পিপলস পার্টি। অনেক পিছিয়ে সেনা সমর্থিত পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন)। এর পরেই আসরে ঝাঁপান পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে পিএমএল ছাড়া বাকি দলগুলির কাউন্টিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এমনকী ভোটের ফলাফল উল্টে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশমতো পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা যে সব কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন সেখানে ভোটগণনা নানা অছিলায় বন্ধ রাখা হয়।
ভোটের ফল ঘোষণায় বিলম্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই ছেঁদো যুক্তি হাজির করেছে নির্বাচন কমিশন। বেলা দুটো পর্যন্ত মোট ৯৮টি আসনের ফলাফল জানা গিয়েছে। তার মধ্যে ৪৭টি আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা। ২৯টি আসনে জয়ী হয়েছেন সেনা সমর্থিত পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) প্রার্থীরা। আর ২২ আসনে জয়ী বিলাওয়াল ভুট্টোর দলের প্রার্থীরা।
