নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: তাঁর গুণের শেষ নেই। ছোটবেলা থেকে কোকেনে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এমনকী বখাটে আর বোহেমিয়ান জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, ব্রিটিশ সেনা হিসেবে আফগানিস্তানে তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে ২৫ নিরীহ নাগরিককে খুনও করেছিলেন প্রিন্স হ্যারি। নিজের আত্মজীবনী ‘এন লা সোমবারা’তে ওই নৃশংস ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন রাজা চার্লসের গুণধর পুত্র। নিরীহ মানুষকে মেরে যে তিনি মোটেও লজ্জিত নন, তাও জানিয়ে দিয়েছেন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বখাটে সদস্য।
আগামী ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হতে চলেছে প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকেই ব্রিটিশ রাজপুত্রের আত্মজীবনীর স্প্যানিশ অনুবাদ ‘স্পেয়ার’ স্পেনে বিক্রি শুরু হয়েছে। আর তার ফলেই প্রিন্স হ্যারির অজানা জীবনের গল্পের অংশ প্রকাশ্যে এসেছে। রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে। শুক্রবার ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’ এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের অন্যতম সদস্য ছিলেন ডায়না পুত্র। ২০০৭-০৮ সালে তিনি ফরোয়ার্ড এয়ার কন্ট্রোলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১২-১৩ সালে সামরিক হেলিকপ্টার চালানোর গুরুদায়িত্ব পেয়েছিলেন। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের পাইলট ছিলেন তিনি। আর ওই সময়ে আফগানিস্তানে এক হামলায় ২৫ জনকে হত্যা করেন প্রিন্স হ্যারি।’
কীভাবে জানতে পেরেছিলেন তাঁর হেলিকপ্টার থেকে ফেলা বোমাতেই ২৫ মানুষের মৃত্যু হয়েছে? এর জবাবও দিয়েছেন চার্লস পুত্র। তাঁর কথায়, ‘হেলিকপ্টারের সামনে বসানো ক্যামেরার মাধ্যমে মৃতের সংখ্যা জানতে পেরেছিলাম।’ ওই ঘটনার জন্য তিনি অনুতপ্ত নন বলে জানিয়ে প্রিন্স হ্যারি লিখেছেন, ‘না আমি অনুতপ্ত, না আমি গর্বিত।’