আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাশা আমিনি ইস্যুতে এমনিতেই তপ্ত ইরান। সেই তপ্ত আবহের মধ্যে ইরানের একটি স্কুলে ঢুকে এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুনই করে দিল পুলিশ। ওই পড়ুয়ার বয়স মাত্র ১৬ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে। মৃতের নাম আসরা পানাহি। আল জাজিরার খবর অনুসারে, আসরা পানাহিকে বলা হয়েছে সে দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেইনিকে সমর্থন করে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে। আসরা পানাহি গান গাইতে অস্বীকার করলে তাকে এবং তাকে সমর্থন করা ১০ পড়ুয়াকে স্কুল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় স্থানে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারে পুলিশ। গুরুতর জখম অবস্থায় আসরাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি করা হয় আহত আরও সাত পড়ুয়াকে। গত ১৪ অক্টোবর পানাহি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
মাশার ক্ষেত্রে পুলিশ যে বয়ান দিয়েছিল, আসরার ক্ষেত্রেও তারা একই বয়ান দিয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আসরার মৃত্যুর সঙ্গে পুলিশ কোনওভাবেই জড়িত নয়। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে এই হত্যার খবর দিতে গিয়ে জানিয়েছে, মৃত্যুর পর সে দেশের সরকারি প্রচারমাধ্যমকে তাঁর কাকা বলেছে, পুলিশ ভাইঝিকে পিটিয়ে খুন করেছে।
ছাত্রীর মৃত্যুর প্রতিবাদে সরব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তারা বিবৃতি জারি করে শিক্ষামন্ত্রী ইউসুফ নৌরির ইস্তফার দাবি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাশট্যাগ দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে প্রচার। উল্লেখ করার মতো বিষয় হল হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছে বহু পড়ুয়া। পুলিশের গুলিতে ২৩জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন Hijab: পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু তরুণীর, হিজাব বিতর্কে তপ্ত ইরান