নিজস্ব প্রতিনিধি: গোটা বিশ্বজুড়ে মহিলাদের জয়গান। অবশেষে সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন পাকিস্তানের নিহত প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর কন্যা আসিফা ভুট্টো। সোমবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির (MNA) সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করলেন আসিফা ভুট্টো। গত মাসে আসিফা তাঁর জন্মভূমি সিন্ধু প্রদেশের এনএ-207 শহীদ বেনজিরাবাদ (সাবেক নবাবশাহ) এলাকা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর বাবার ছেড়ে যাওয়া আসনে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর বাবা আসিফ আলী জারদারি আসনটি শূন্য করেছিলেন। সেই জায়গাতেই সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন আসিফা।
এদিন মেয়ে শপথ নেওয়ার সময় করতালি দিয়ে তাঁকে উৎসাহ দেন বাবা আসিফ আলী জারদারি। PPP চেয়ারম্যান সোশ্যাল মিডিয়া X হ্যান্ডলে আসিফার সঙ্গে আসিফ আলী জারদারির একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁর সাংসদ মেয়ে, ইসলামাবাদে জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্যে অভিনন্দন।’ পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত স্বতন্ত্রপ্রার্থী গুলাম মুস্তাফা রিন্দে সিন্ধু হাইকোর্টে তাঁর জয়কে চ্যালেঞ্জ করেছিল। কারাবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল দ্বারা সমর্থিত আবেদনকারী আরও দাবি করেছিল যে, তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এবং তাঁর মনোনয়নপত্র ভুলভাবে বাতিল করা হয়েছে। রিন্দে আদালতে আসিফ্র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়কে বাতিল করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠার আবেদন করেছিলেন।
কিন্তু কেউ আসিফার সাংসদ হওয়ার পথ আটকাতে পারল না। সোমবার আসিফার শপথ গ্রহণের সময় স্লোগানের মধ্যে এনএ স্পিকার আয়াজ সাদিক তা কে দিয়ে শপথবাক্য পাঠ করান। পিটিআই-এর চেয়েছিল, রিন্দ উপনির্বাচনে আসিফার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। কিন্তু নানা কারণে কারণে পুলিশের দ্বারা আটক হন রিন্দ। পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি এক্স-এ বলেছে, “আসিফা ভুট্টো জারদারি জাতীয় পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন। স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক শপথবাক্য পাঠ করান। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।” আসিফার বোন, বখতাওয়ার ভুট্টো-জারদারি বলেন, “আমার বোনের এমন জয় আমাদের পরিবারের জন্য পরাবাস্তব এবং গর্বের মুহূর্ত।” আসিফা ভুট্টো জারদারি রাজনীতি ও সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য ও উন্নয়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি প্রাথমিকভাবে ২০১২ সালে পোলিও নির্মূলের জন্য একজন শুভেচ্ছা দূত হিসাবে তিনি কাজ করেছিলেন, যা তার মুখকে জনসাধারণের মধ্যে আরও পরিচিত করে তুলেছিল। আসিফার মা ছিলেন পাকিস্থানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।