আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জল্পনা সত্যি হল। তিনি জানিয়েছিলেন, ১৫ নভেম্বর বড় ঘোষণা করবেন। তখনই তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, ২০২৪ সালে তিনি ফের মার্কিন নির্বাচনে লড়বেন। ৭৬ বছরের নেতার দল ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছে হোয়াইট হাউসে। আমেরিকার ইতিহাসে তিনিই প্রথম হেভিওয়েট প্রার্থী, যিনি পরের নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করলেন।
সম্প্রতি আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে ‘লাল ঝড়’ বইয়ে দেওয়ার দাবি করেছিল ট্রাম্পের দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সেনেটের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাতেই রয়ে গিয়েছে। তবে নিম্নকক্ষ বা ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে’ ডেমোক্র্যাটদের পিছনে ফেলেছে রিপাবলিকানরা । যদিও সেখানেও ব্যবধান সামান্যই। নির্বাচনের আগে যা পূর্বাভাস করছিলেন বিশেষজ্ঞরা তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেননি ট্রাম্পরা। ফলে সব মিলিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনের শেষে বাইডেনের মুখের হাসিই চওড়া হয়েছে। কেননা সাধারণত, মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল চাপে পড়ে যায়। এবার সেই সঙ্গে বাইডেনের আরও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মুদ্রাস্ফীতি ও তাঁর জনপ্রিয়তার গ্রাফের নিম্নমুখী হওয়া। সেই চ্যালেঞ্জে তিনি জয়ী। পাশাপাশি যে রিপাবলিকান প্রার্থীরা দাবি করেছিলেন, তাঁরাই জিতবেন, তেমন শতাধিক প্রার্থী কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনে জিতেছেন। ফলে ট্রাম্পের আত্মবিশ্বাস যে বাড়ছে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এরই পাশাপাশি ট্রাম্পের একেবারে বশংবদ বহু প্রার্থীই কিন্তু হেরেছেন। সেটাই নিঃসন্দেহে চিন্তায় রাখছে তাঁকে।
এবার তাই নতুন করে কোমর বেঁধে মার্কিন মসনদে বসার লড়াই শুরু করলেন ট্রাম্প। জানিয়ে দিলেন, ‘আজকের দিনটা দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন বলে গণ্য হতে চলেছে। আমেরিকার প্রত্যাবর্তন এই শুরু হল। আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার ঘোষণা করছি’। ট্রাম্পের এই ঘোষণার সঙ্গে দু’বছর আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিয়ে আগ্রহ তৈরি হল।