নিজস্ব প্রতিনিধি, আঙ্কারা: সময় যত গড়াচ্ছে ততই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে ভূমিকম্পের ছোবলে মৃত্যুমিছিলের সারি। রবিবার রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ১০৫ জন। তার মধ্যে শুধু তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ হাজার ৬০৫ জন। আর সিরিয়ায় মারা গিয়েছেন ৪ হাজার ৫০০ জন। ধ্বংসস্তুপ সরানোর সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে তাতে প্রাণঃআনি ৫০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা।
গত সোমবার ভোরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একাধিক প্রদেশ। পাশাপাশি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল। নিমিষেই ধ্বংসস্তুপের চেহারা নিয়েছিল একাধিক শহর। ঘটনার পরেই শুরু উদ্ধারকার্য। সবচেয়ে বিস্ময়ের হলো, ঘটনার ছয়দিন বাদেও ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে জীবিত অবস্থায় অনেককেই উদ্ধার করা যাচ্ছে। এদিন বিকেলে হাতায়ের একটি ধ্বংসাবশেষের ভিতর থেকে কুডি নামের ১২ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ১৪৭ ঘন্টা বাদে জীবীত অবস্থায় উদ্ধারকে অলৌকিক বলেই মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। এর আগে হাতায়ের একটি ধ্বংসস্তুপ থেকে সাত মাসের এক শিশুকেও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন উদ্ধারকারীরা।
তুরস্কের পরিবেশ মন্ত্রী মুরাত কুরুম এদিন সাংবাদিকদের জানান, ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২৪ হাজার ৯২১টি ভবন ও বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৩১ জন ঠিকাদারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১৩ জনের বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। অভিযুক্তদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট।