আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লাশ, লাশ আর লাশ। ধ্বংসাবশেষ যত সরানো হচ্ছে ততই মিলছে পাহাড়। ভূমিকম্পের পর পাঁচ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে তুরস্ক আর সিরিয়ায় লাশের পাহাড় জমছে। রবিবার সকাল পর্যন্ত দুই দেশে প্রাণহানির সংখ্যা ২৯ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে ৩০ হাজার ছুঁইছুঁই করছে। তার মধ্যে শুধু তুরস্কেই মারা গিয়েছেন ২৪ হাজার ৬১৭ জন। আর সিরিয়ায় ৫ হাজার ১৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যেভাবে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে লাশের পর লাশ উদ্ধার হচ্ছে তাতে প্রাণহানির সংখ্যা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা ভেবেই উঠতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা।
গত সোমবার ভোরে শতাব্দীর ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক আর সিরিয়া সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রকৃতির অভিশাপে নিমিষেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে একাধিক শহর, জনবসতি। প্রায় লক্ষাধিক উদ্ধারকারী গত ছয়দিন ধরে সেই ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে উদ্ধার করেছেন অসহায়ভাবে মৃত্যুর দেশে পাড়ি জমানো স্থানীয় বাসিন্দাদের মৃতদেহ। ইতিমধ্যেই দীর্ঘদিন ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে থাকায় মৃতদেহ থেকে বিকট দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করেছে। ছয়দিনের মাথাতেও ধ্বংসাবশেষের ভিতর থেকে বহু শিশু, মহিলাকেও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ছয়দিনের মাথাতেও ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে প্রাণের স্পন্দন শোনা যাবে, তা কল্পনাতেও ছিল না উদ্ধারকারীদের।
১২৯ ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরে শনিবার গাজিয়ানটেপ নুরদাগ শহরের এক ধ্বংসস্তুপ থেকে একই পরিবারের পাঁচজনকে যেমন জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, তেমনই ১৬ শিশুকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় পাঠানো হয়েছে। তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এখনও বেশ কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের হদিশ না মেলা পর্যন্ত উদ্ধারকার্য চলবে।