নিজস্ব প্রতিনিধি: হামাসের(Hamas) হামলার বদলা নিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ইজরায়েল(Israel)। নিত্যদিন দিনেরাতে চলছে মুড়িমুড়কির মতো বোমাবর্ষণ(Bombing)। সেই বোমার ধাক্কায় গাজার একটা বড় অংশই এখন ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ইজরায়েলের সেই বোমা বর্ষণের ঘটনার জবাব দিতে ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভেও হামলা চালিয়েছে জঙ্গি সংগঠন হামাস। এই অবস্থায় এখন সব থেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছেন গাজার বাসিন্দারা। তাঁরা বিনা অপরাধে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুর মুখে দাঁড়াচ্ছেন। অনেকেই কার্যত আত্মীয়পরিজন, পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে সর্বহারা হয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন। ইজরায়েলের হানাদারির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না গাজা স্ট্রিপের(Gaza Strip) স্কুলগুলিও। এখনও পর্যন্ত ৭টি স্কুল(School) মাটিতে মিশে গিয়েছে ইজরায়েলের বোমার আঘাতে।
সাধারণত প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আপাতকালীন অবস্থায় মানুষজন সাধারণত স্কুলেই আশ্রয় নেন। সেই স্কুলকেও ইজরায়েল তাঁদের নিশানা বানিয়েছে। ফলে গাজার যেসব মানুষ ঘরবাড়িও হারিয়ে বা আতঙ্কে প্রাণে বাঁচতে নানা স্কুলে গিয়ে মাথা গুঁজছেন সেখানেও তাঁদের নিত্যসময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে, এই বুঝি সেখানেও বোমা পড়ল। গাজার বুকে ইজরায়েলের বোমা ফেলার জেরে একের পর এক শহর কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। আর সেই সব শহরের বাসিন্দারা এখন সেখানকার স্কুলগুলিতেই মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তারই মধ্যে ইজরায়েল গাজা স্ট্রিপে খাবার, জ্বালানী, ওষুধ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠানোর রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ-ও। ফলে গাজার মানুষজন এখন খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের কাছে না আছে গরম পোষাক, না আছে খাদ্য। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও সেখানে অভুক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৩-৪ দিন ধরে।