আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টিকাকরণ কর্মসূচিতে বড় ধরনের সাফল্য। আগামীদিনে যারা টিকা নেবেন, তাদের আর ইঞ্জেকশনের সূঁচ ফোটাতে হবে না। নাকেই দেওয়া হবে করোনা টিকা। এমনই এক ভ্যাকসিন তৈরি করেছে রাশিয়া। আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে এই টিকা বাজারে পাওয়া যাবে। টিকাটি তৈরি করেছে রুশ গবেষণা সংস্থা গামালেয়া সেন্টার। এরাই তৈরি করেছিল স্পুটনিক ভি।
গামালেয়া সেন্টারের ডিরেক্টর আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ জানিয়েছেন, এই ধরনের টিকা তৈরির কাজ দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। গত অক্টোবরে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই টিকাকে ছাড়পত্র দেয়। করোনা এবং অমিক্রন আক্রান্তের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত বিশ্বে ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছিল। আগামীদিনে এই ভাইরাসে আক্রান্তের নাকে দেওয়া হবে টিকা। টিকাকরণ কর্মসূচির ক্ষেত্রে এটা যে বড় সাফল্য তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। অনেকেরই ইঞ্জেকশনের প্রতি ভীতি রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া সেই সব দৃশ্য ভাইরাল। তা দেখে অনেকে যেমন আতঙ্কিত হয়েছেন, অনেকে আবার মজাও করেছেন। তবে ইঞ্জেকশনে যাদের ভয় রয়েছে, তাদের জন্য এই খবর স্বস্তিদায়ক।
ভারতে প্রথম স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয় হায়দরাবাদে, গত বছর মে মাসে। দেশে করোনা সংক্রমণ আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। তবে সন্ধান পাওয়া গিয়ছে আরও এক প্রজাতির, যা ওমিক্রন –বি.এ-২-য়ের তুলনায় আরও বেশি সংক্রামক। ১৯ জানুয়ারি প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মেলে। তবে দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও আগের দিনের তুলনায় কম। স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। করোনাকে জয় করে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন চার কোটির বেশি মানুষ।
আরও পডুন করোনা সংক্রমণ হ্রাস পেলেও উদ্বেগে রাখল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা