নিজস্ব প্রতিনিধি: আইপিএল-এ গুজরাট দলটার কাছে শনিবারের ম্যাচটা ছিল ডু-অর ডাই ম্যাচ। সেই ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত জয় এল না লখনউ সুপার জায়ান্টসের। লিগ টেবেলি দুই নম্বরে থাকা দলটা যে শনিবার ১৩৫ রান তুলতে গিয়ে এইরকমভাবে ম্যাচ হারবে এটা বুঝি কল্পনাও করতে পারেননি কোনও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। হ্যাঁ এরই নাম ক্রিকেট। যেখানে অনেক কিছুই সম্ভব। শেষ পর্যন্ত ৭ রানে ম্যাচটি জিতে নিল গুজরাত টাইটান্স।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুভমন শূন্য রানে ফিরতেই বিপর্যয়ের ইঙ্গিতটা হয়তো পেয়ে গিয়েছিলেন অভিজ্ঞ হার্দিক পাণ্ড্য। তবুও ঋদ্ধিমানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে একা টানতে লাগলেন তিনি। মূলত হার্দিক-ঋদ্ধির জুটিতেই ১৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল গুজরাত।
১৩৬ রানটা এমন কিছু বিরাট রান নয়। তাই ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিজেদের মতো করে খেলতে লাগলেন লখনউ দলের ব্যাটসম্যানরা। ফলত ৬ ওভারেই ৫০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলে কেএল রাহুলরা। মেয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে শনিবারও ব্যাট হাতে ওপেন করতে নামেন অধিনায়ক রাহুল। মায়ার্স ২৪ রানের মাথায় প্যাভেলিয়নে ফিরতেই রাহুলের সঙ্গী হন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। ধীরে ধীরে ম্যাচটিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে শুরু করেন রাহুল ও ক্রুণাল। এবং এই দুই ব্যাটারের দৌলতে মাত্র ১০ ওভারেই লকনউ পৌঁছে যায় ৮৫ রানের দোরগোড়ায়। ইতিমধ্যে ৪২ বলে নিজের অর্ধ্বশতরান পূর্ণ করে ফেলেন রাহুল।
বেশ ভালোই এগোচ্ছিল লখনউয়ের রান। কিন্তু এরই মধ্যে ২৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান ক্রুণাল। ক্রিজে আসেন নিকোলাস পুরান। শনিবারও তাঁর নামটা তোলা রাখলেন ১ রান করেই। এরপরই শুরু হয় বিপর্যয়। পর পর উইকেট পড়তে থাকে লকনউয়ের। কেএল রাহুল ৬৮ রানে আউট হতেই ম্যাচের রাশ চলে হার্দিকদের দখলে। আর তাতেই বাজিমাত গুজরাত টাইটান্সের। ভাগ্যের কৃপায় এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন হার্দিকরা।