নিজস্ব প্রতিনিধি: লখনউয়ের বিরুদ্ধে আইপিএল-এ প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। ভেবেছিলেন ছন্দে থাকা শুভমন যদি একটা বড় ইনিংস খেলে দিতে পারেন, তাহলে লখনউ-এর উপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে। কিন্তু তাঁর সেই পরিকল্পনাটা ভেস্তে গেল দিনের শুরুতেই। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রান তুলতে সমর্থ হল হার্দিকের দল।
অন্যান্য ম্যাচের মতো শনিবারের ম্যাচেও শুভমনের সঙ্গে ওপেনিং-এ ব্যাট হাতে নেমেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। ছন্দে থাকা শুভমনকে একদম শুরুতেই শূন্য রানে সাজঘরে পাঠিয়ে ক্রুণাল পাণ্ডিয়া জানান দিলেন আজকের দিনটা ব্যাটিংয়ে খুব একটা সাফল্য পাবে না হার্দিকের দল।
শুভমন ফিরে যাওয়াতে বেশ কিছুটা চাপে পড়ে গুজরাত টাইটান্স। দলনায়ক হার্দিককে সঙ্গে নিয়ে ২২ গজে তখন লকনউ বোলারদের মোকাবিলা করছেন এক বাঙালি উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা। শনিবার ঋদ্ধির ব্যাট থেকে মূল্যবান ৪৭টি রান।৩৭ বল খেলে ৬টি চারের সাহায্যে এই রান করেন পাপালি। আর তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন দলনেতা হার্দিকও।
আরও জানতে পড়ুন : বিশ্বকাপ অবধি বাবরেই ভরসা পাকিস্তানের
ঋদ্ধি প্যাভেলিয়নে ফিরতেই হার্দিক একা কুম্ভের মতো রক্ষা করতে থাকেন দলকে। শনিবার তাঁর ব্যাট থেকেও এল ৬৬ রানের ঋকঝকে সুন্দর একটা ইনিংস। চলতি আইপিএল-এ এটাই প্রথম হার্দিকের অর্ধ্বশতরান। হার্দিক যখন বেশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন, ঠিক সেই সময়ই তাঁকে সাজঘরে পাঠান স্টেইনস।
হার্দিক আউট হতেই বিপদ বাড়ে গুজরাতের। নির্ধারিত ২০ ওভারে গুজরাট ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৬ রানের টার্গেট খাড়া করে লখনউ-এর সামনে। বল হাতে লখনউ-এর হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ও স্টেইনস।