নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি-আইপিএল-এ ফের রবিবার ঘরের মাঠে খেলতে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রতিপক্ষ চেন্নাই সুপার কিংস। ইতিমধ্যেই এই ম্যাচ ঘিরে তিলোত্তমার বুকে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে শনিবার বিকেল থেকেই। কারণ একটাই জীবনের শেষ আইপিএল-ম্যাচ খেলতে চেন্নাই দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ইডেনে মাঠে নামবেন।
শুধু চেন্নাই-এর অধিনায়কই তিনি নন, তাঁর আরও একটা পরিচয় হচ্ছে তিনি বাংলার জামাই। কাজেই ধোনি ভক্তদের কাছে ম্যাচটার গুরুত্বই যে আলাদা তা রবিবার সকাল থেকেই বোঝা যাচ্ছিল ইডেনের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মাহি ভক্তদের টিকিটের হাহাকার দেখেই।
আগের ম্যাচে বিরাট কোহলিদের এই ইডেনের মাঠেই হারিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। পরের ম্যাচে হার্দিকদের নিজেদের ঘরে গিয়ে পরাজিত করলেও, মুম্বই এবং চলতি আইপিএল-এর লিগ টেবিলের একেবারে নীচে থাকা দিল্লির কাছে হার নাইটদের বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। এই অবস্থায় ঘরের মাঠে চেন্নাই-এর বিরুদ্ধে জয় ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা নেই নীতিশ রানাদের কাছে।
লিগ টেবিলের বর্তমান যা অবস্থা তাতে নাইটরা রয়েছেন ৮ নম্বর স্থানে। আর চেন্নাই রয়েছে ৩ নম্বর স্থানে। কাজেই রবিবার সন্ধ্যায় ইডেনের ২২ গজে যে দুই পক্ষের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-এর আশা করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
নাইটদের বিরুদ্ধে ম্যাচে মাঠে নামার আগে চেন্নাই দলটা হারিয়েছে মার্করামদের সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। দলের ম্যান ব্যাটসম্যান হিসেবে দারুণ ছন্দে রয়েছেন ঋতুরাজ ও কনওয়ে। তাঁদের যে কোনও একজন ইডেনের মাঠে দাঁড়িয়ে গেলেই কিন্তু বিপদ বাড়বে নাইটদের। এছাড়া অম্বাতি রায়ডু, মঈন আলি, অজিঙ্কা রাহানে তো আছেনই। এবং সবশেষে আছেন মাস্টার কুল মহেন্দ্র সিং ধোনি।
নাইটদের ব্যাটিং লাইন আপে কিন্তু জেসন রয় ছাড়া দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে কেউই সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। ভেঙ্কটেশ আইয়ার শতরান করলেও ওয়ার্নারদের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যর্থ হয়েছেন রিঙ্কুও। কাজেই এই ব্যাটার যদি রান না পান তাহলে আরও একটা সমূহ বিপদ কিন্তু অপেক্ষা করছে সুনীলদের জন্য।
বোলিং বিভাগে নাইটরা মূলত তাঁদের প্রধান অস্ত্র স্পিন যাদুতেই বধ করতে চাইবেন চেন্নাইকে। যেমনটা করেছিলেন আরসিবির ক্ষেত্রে। কিন্তু চেন্নাই দুই অস্ত্রেই বধ করতে মরিয়া হবে নাইটদের। তুষার দেশপাণ্ডের পাশাপাশি রবীন্দ্র জাদেজা, পাথিয়ারানা, আকাশ সিংরা বল হাতে চেন্নাই-এর বড় ভরসা। এখন দেখা যাক সুপার হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে বাংলার জামাই নাকি ঘরের দল কে জিতবে সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।
